মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
রেশনে চাল-গম বিলি নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে অসন্তোষের খবর আসায় খাদ্যসচিব মনোজ আগরওয়ালকে সরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জায়গায় নতুন খাদ্যসচিব হচ্ছেন পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রেশনে চাল-গম দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশনের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের পাশাপাশি রাজ্যের বাছাই করা দরিদ্র ব্যক্তিদের এখন রেশনে প্রতি মাসে মাথাপিছু ২ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম দেওয়া হয়। এঁদের আগামী ছ’মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া, মাথাপিছু ৯ টাকা কেজি দরে এক কেজি চাল ও ১৩ টাকা কেজি দরে এক কেজি গম পান সম্পন্ন পরিবার (আরকেএসওয়াই-দুই) শ্রেণিভুক্ত রেশন কার্ড প্রাপকরা।
করোনা মোকাবিলায় লকডাউন চালু হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় রেশন দোকান মারফত পাঁচ কেজি চাল ও এক কেজি ডাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বিরোধীদের অভিযোগ এ রাজ্যের রেশন গ্রাহকেরা সেই চাল-ডাল পাচ্ছেন না। খাদ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণামতো রাজ্যের ৯ কোটি মানুষকে রেশন সামগ্রী দিতে বরাদ্দ চেয়ে কেন্দ্রের কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছিল। তার কোনও সদুত্তর আসেনি। ফলে রাজ্য যেমন দিচ্ছিল তেমনই দিচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘ এ ভাবে লকডাউন হবে কারও জানা ছিল না। রেশন দোকানগুলো সব জায়গায় প্রস্তুত ছিল না। আদালতের নির্দেশ রয়েছে রেশন ডিলাররা চাল-গম মজুত করে রাখতে পারেন না। ছোট দোকানে অত মাল নেই। ফলে সবাই একসঙ্গে চলে গেলে কিছু সমস্যা হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে চাল-গম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকি অংশের মানুষই বা পাবেন না কেন? সেই কারণে খাদ্যসচিবকে সরানো হল। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘মাসে মাথাপিছু পাঁচ কেজি চাল দেওয়া হবে। অনেকে জলঘোলা করতে শুরু করেছে। তা মানব না। এই সঙ্কটে আমরা যদি জলঘোলা না করি, তা হলে অন্যেরা করবে কেন? এ সব বরদাস্ত হবে না।’’
খাদ্য দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, রেশন দোকানে এসে চাল-গমের বদলে আলু, পেঁয়াজ, চিনি চাইলে তা তো দেওয়া সম্ভব নয়! এ নিয়ে বিক্ষোভ হলে তা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)