মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে জমি চেয়েছেন মমতা। ফাইল চিত্র
দিল্লিতে বঙ্গ ভবন রয়েছে। রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত সেই বাড়িতে প্রয়োজন এ রাজ্যের বাসিন্দারা রাজধানীতে গিয়ে সেখানে থাকতে পারেন। এ বার মুম্বইতেও একই ভাবে রাজ্য সরকার একটি বাড়ি বানাতে চাইছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সাম্প্রতিক মুম্বই সফরে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারের কাছে তার জন্য জমিও চেয়েছেন। জানা গিয়েছে, মুম্বইতে টাটা মেমোরিয়ালে যাঁরা ক্যানসার চিকিৎসার জন্য যান তাঁদের থাকার সুবিধার জন্যই মুম্বইতে রাজ্য সরকারের তরফে ভবনা বানানোর এই উদ্যোগ।
মমতা তাঁর এই ইচ্ছার কথা জানান মহারাষ্ট্রের পরিবেশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্যকে। মমতার এই সফরের সময় অসুস্থ থাকায় উদ্ধবের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি। তার পরিবর্তে বৈঠক হয় আদিত্যের সঙ্গে। সেই বৈঠকে ছিলেন শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। মুম্বইতে বঙ্গ ভবন বানাতে মমতার জমি চাওয়ার বিষয়টি সামনে এনেছেন সঞ্জয়। শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-য় তিনি লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চাহিদা মোটেও অকারণে নয়। মুম্বইতে ওড়িশা ভবন, উত্তরপ্রদেশ ভবন রয়েছে। পশ্চিবমঙ্গ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সামাজিক বিপ্লবে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। দুই রাজ্যের মধ্যে একটা মানবিক সম্পর্ক রয়েছে। যা রক্ষা করতে হবে।’ জানা গিয়েছে, আদিত্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে মমতা তাঁর ইচ্ছার কথা জানান। তিনি নাকি এমনটা বলেন যে, বাংলা থেকেই অনেকে চিকিৎসার জন্য মুম্বইতে আসেন। এর মধ্যে একটা বড় অংশ আসেন টাটা মেমোরিয়ালে ক্যানসার রোগের চিকিৎসার জন্য। যাঁরা আসেন, তাঁদের পরিবারের লোকেদের থাকার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটি বাড়ি বানাতে চান তিনি।
শিবসেনা নেতা সঞ্জয়ের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, অচিরেই মুম্বইতে জমি পেতে পারে বাংলা। তৈরি হতে পারে বঙ্গ ভবন। কিন্তু সেটা কোথায়? মুম্বইতে জমি পাওয়া যে হেতু কঠিন তাই অনেক রাজ্যই তাদের ভবন বানিয়েছে নবী মুম্বইতে। সবার আগে বানায় অসম সরকার। এর পরে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, মেঘালয় সরকার মুম্বইতে রাজ্যের নামে ভবন বানিয়েছে। জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের বাশী রেল স্টেশনের কাছে ১৮টি প্লট বিভিন্ন রাজ্যকে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এর কাছাকাছি কোথাও আগামীতে তৈরি হতেই পারে বাংলার নিজের ভবন।