পোস্তার হাল কেমন? প্রশ্ন মমতার, জবাব: ‘বুরা’

নোট বাতিলের পর থেকে এ রাজ্যের ব্যবসায়ীরা ভাল নেই বলে বারবারই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মমতা। সোমবার পোস্তায় মূলত অবাঙালি ব্যবসায়ীদের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন মঞ্চে এই প্রশ্নোত্তরের ফাঁকে মমতা ব্যবসায়ীদের অবস্থা নিয়ে ফের উদ্বেগ ব্যক্ত করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৫৭
Share:

উদ্বোধন: পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

কেমন আছে পোস্তা? কেমন আছে বড়বাজার?

Advertisement

উপস্থিত ছোট-বড় ব্যবসায়ীর জমায়েতের কাছে প্রকাশ্যেই জানতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনতার জবাব এল, ‘‘বহুত বুরা— খুব খারাপ।’’

নোট বাতিলের পর থেকে এ রাজ্যের ব্যবসায়ীরা ভাল নেই বলে বারবারই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মমতা। সোমবার পোস্তায় মূলত অবাঙালি ব্যবসায়ীদের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন মঞ্চে এই প্রশ্নোত্তরের ফাঁকে মমতা ব্যবসায়ীদের অবস্থা নিয়ে ফের উদ্বেগ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ সুখে নেই। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আপনারা আগে বিজেপিকে মদত দিতেন। মন থেকে বলুন তো, নোটবন্দি, জিএসটি চালুর পরে আপনারা এখনও কি বিজেপিকে নিয়ে একই কথা ভাবছেন?’’ তার পর নিজেই বলেন, ‘‘আপনারা এখানে খোলাখুলি কেউ বলতে পারবেন না, জানি। কিন্তু ব্যক্তিগত স্তরে আলাদা ভাবে কথা বললে বুঝতে পারি, আপনারা ভাল নেই।’’

Advertisement

বড়বাজার, পোস্তার ব্যবসায়ীদের এই ভাল-মন্দে তিনি যে ‘উদ্বিগ্ন’, তা বোঝাতেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাদের সুখে-দুঃখে আমরা ৩৬৫ দিন থাকি। আপনাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমাদের যোগাযোগ থাকে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় আমার পুরো দল নিয়ে আমি আসি। ভালবেসে আসি। এলাকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠকে আমরা থাকি।’’ এর পরেই ঈষৎ ক্ষোভের সুরে মমতার মন্তব্য, ‘‘কিন্তু পুরসভার ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল জেতে না! খালি ভোটের সময় ভোট দাও বলতে আমরা এখানে আসি না। এর ইতিহাস, ভূগোল, রাজনীতি সব জানি।’’

আরও পড়ুন: রথ নয় ফাইভ স্টার, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

ভোটের আগে হিন্দিভাষী আবেগে ভর করে পোস্তার ওই ওয়ার্ড বিজেপি জিতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘হিন্দিভাষীদের জন্য কী করেছে বিজেপি? কী করেছে সিপিএম? বাংলার মানুষের জন্য কী করেছে?’’ পোস্তার মতো বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বসবাসকেন্দ্র পোস্তা, বড়বাজারকে ‘মিনি ইন্ডিয়া’ বলে উল্লেখ করেন মমতা। সেই

‘মিনি ইন্ডিয়া’য় ভাগাভাগি, বিভেদ যাতে না হয়, সে ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের নজর রাখার আবেদন করে তিনি বলেন, ‘‘এখানে সকলে একসঙ্গে থাকেন। চাই না কোনও রকম অশান্তি হোক।’’

বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে ছোট থেকে বড় ব্যবসায়ীকে নানা ভাবে জেরা করছে সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতর। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘‘চাই ব্যবসায়ীদের হেনস্থা করা বন্ধ হোক। গত দু’বছরে আপনাদের যা ক্ষতি হয়েছে, তা আবার মেরামত করতে হবে। এর জন্য ধৈর্য রাখুন।’’ সিবিআই, ইডির মতো তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আগে কেউ ইডি, ইনকাম ট্যাক্স, সিবিআই নিয়ে প্রশ্ন করেছে? এখন তো গোটা দেশেই বরবাদ করে দিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement