গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
বাংলায় এ বার বিনামূল্যে ‘যোগ্যশ্রী’ প্রশিক্ষণ পাবেন সাধারণ বা জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্রছাত্রীরাও। সঙ্গে সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্তদের জন্যও অবারিত করা হবে এই সরকারি প্রকল্প। এত দিন শুধু রাজ্যের তফসিলি জাতি এবং জনজাতিভুক্ত পড়ুয়ারাই একাদশ শ্রেণি থেকে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারত এ বার বাকিরাও যাতে এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পায় তার ব্যবস্থা করবেন বলে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেছেন তিনি।
বিনামূল্যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার সরকারি প্রশিক্ষণ প্রকল্প হল যোগ্যশ্রী। অনেক সময়েই আইআইটি এন্ট্রান্স, জেইই (অ্যাডভান্সড), জেইই (মেন), রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং নিট-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার জন্য পাঠ্যক্রমের বাইরে বাড়তি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। সামর্থ্য না থাকা ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে সেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতার ভাবনাপ্রসূত এই প্রকল্পে একাদশ শ্রেণি থেকেই নাম নথিভুক্ত করাতে পারে ছাত্রছাত্রীরা। প্রাপ্ত নম্বর এবং আবেদনের ভিত্তিতে সুযোগ পায় যোগ্য ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার তাঁর সেই যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেছেন মমতা।
এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি দীর্ঘ পোস্টে মমতা লিখেছেন, বাংলার যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সাফল্য ক্রমেই বাড়ছে। ‘‘শুধু ২০২৪ সালেই যোগ্যশ্রী প্রশিক্ষিতদের মধ্যে ২৩ জন (আইআইটির ১৩ জন নিয়ে) জেইই (অ্যাডভান্সড), ৭৫ জন জেইই (মেন), ৪৩২ জন রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স এবং ১১০ জন নিট-এ স্থানাধিকার করেছে। আগের বছরের তুলনায় এ বছর আরও ভাল হয়েছে রেজাল্ট।’’
এই সাফল্যের কথা জানিয়েই মমতা লিখেছেন, সামর্থ্য না থাকা ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে আমরা রাজ্যের যোগ্যশ্রীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ করেছি। প্রশিক্ষিতের সংখ্যাও বেড়ে ২০০০ ছাড়িয়েছে। আমরা চাই সমাজের দুর্বল স্তরে থাকা ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি করে চিকিৎসক এবং প্রযুক্তিবিদ হোক। তাই এ বার সংখ্যালঘু, সাধারণ বা জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্রছাত্রী এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্তেরাও যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা পায়, তার ব্যবস্থা করবে সরকার।