মেদিনীপুর হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র
গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায়। ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারের থেকে। পশ্চিম মেদিনীপুরে মোদীর সভায় প্যান্ডেলের একাংশ ভেঙে আহতদের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খড়গপুর আইআইটি’র সমাবর্তন উপলক্ষে মেদিনীপুরে গিয়ে আচমকাই হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে কথা বলার পর এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ বৃহস্পতিবার খড়গপুরেই থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু তিনি আচমকাই কলকাতা থেকে সোজা চলে যান মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে।
সোমবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মোদীর সভায় প্যান্ডেলের একাংশ ভেঙে আহতদের মধ্যে দু’জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে গিয়ে কৌশিক মাহাত এবং সুচিত্রা মাহাতর সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। বলেন, ‘‘আহতদের কয়েক জনের এখনও চোট রয়েছে। পায়ে আঘাত পেয়েছেন তাঁরা । আহতরা দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাঁরা বলছিলেন, কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না। এরপর তিনি ঘোষণা করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আহতদের এক লক্ষ টাকা এবং তুলনামূলক কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।
মেদিনীপুর হাসপাতালের ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে মুখ্যমন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: গাফিলতি বিজেপিরও, বলছে পিএমও তদন্ত
ওই দুর্ঘটনায় আহত আরও কয়েকজন ভর্তি মেদিনীপুরের একটি নার্সিংহোমে। হাসপাতাল থেকে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী। আহতদের সঙ্গে কথা বলার পর চূড়ান্ত হয়, মোট ৫ জন আহতকে এক লক্ষ টাকা করে এবং চার জনকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মঞ্চের তলাতেও সিসি ক্যামেরা, কড়া নিরাপত্তায় একুশের সভা
সোমবার মেদিনীপুরের কলেজ ময়দানে কৃষক কল্যাণ সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তৃতার সময়ই প্যান্ডেলের একাংশ ভেঙে পড়ে। তাতে আহত হন ৯০ জন। সভা সেরেই মোদীও সেদিন হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। কথা বলেন আহতদের সঙ্গে। তখন মমতাও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। তারপর এদিন সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে কথা বলা এবং ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
হাসপাতাল ও নার্সিংহোম পরিদর্শনের পর মাদিনীপুর সার্কিট হাউসে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাত্রিবাসের পর শুক্রবার খড়গপুরের সমাবর্তনে যোগ দেবেন তিনি।