অখিলেশের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে লখনউয়ের জনসভা থেকে যোগী আদিত্যনাথকে তুলোধনা মমতার।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে নন্দীগ্রামের তেখালির মাঠে প্রচারসভা করে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এ বার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে গিয়ে সেই যোগীর বিরুদ্ধে পাল্টা খড়্গহস্ত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে ভার্চুয়াল সভা থেকে যোগী সরকারকে তুলোধনা করলেন মমতা। সঙ্গে কোভিডকালে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন শহর-লাগোয়া নদী থেকে বাংলার সীমানায় ভেসে আসা লাশ নিয়েও খোঁটা দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের কোভিড সংক্রমণে যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের লাশ সৎকার না করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল। যোগীজির সরকার মানুষের মৃতদেহের সৎকার পর্যন্ত করেনি। সেই সব লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে দায় সেরেছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ থেকে লাশ ভেসে এসেছিল বাংলার নদীতে। বাংলার সরকার সেই সব লাশের সৎকার করেছে পূর্ণ মর্যাদায়। আমরা কারও অমর্যাদা করি না।’’
শুধু কোভিড কালে উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়েই মমতা তোপ দাগেননি। উন্নাও, হাথরসে মহিলাদের উপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের ও পরিবারের উপর ‘সরকারি অত্যাচার’-এর অভিযোগ তুলেও সরব হন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘কী হয়েছিল হাতরসে? কী হয়েছিল উন্নাওতে? সেখানে গরিব মেয়ের ওপর নির্যাতন করে মারা হয়েছিল। এখনও তাঁরা বিচার পাননি, কেন? যোগীজির রাজত্বে কি মহিলারা বিচার পান না?’’ তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘‘যোগীজির আমলে কি মহিলারা সম্মান পেয়েছেন?’’ তার উত্তরে মমতা নিজেই বলেন, ‘‘আপনারা উত্তরপ্রদেশের মা-বোনেরা এ বার অখিলেশকে সমর্থন করে সরকার বদল করুন। আপনারা সম্মান পাবেন। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। অখিলেশ আপনাদের জন্য কাজ করবে। যোগীরাজ শেষ হলে বিজেপি দেশ থেকে শেষ হবে।’’
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে ঠিক এই অভিযোগগুলিই করেছিলেন যোগী। মঙ্গলবার লখনউয়ে যেন সেই হিসেব মিটিয়ে নিলেন মমতা। সঙ্গে বললেন, ‘‘এনকাউন্টার করলেই সুশাসন দেওয়া যায় না।’’