ফাইল চিত্র।
রাজ্যে আমপান-এর পরে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে কয়েকটি মাত্র ‘ছোট ঘটনা’কেই বড় করে দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি আনন্দবাজারকেও দায়ী করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এত বড় আমপান-এর পরেও দু-একটা ছোট ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে কোনও কোনও রাজনৈতিক দল। বাংলার দুর্ভাগ্য, বাংলার প্রধান সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার চির কাল নেগেটিভ (নেতিবাচক)! রাজ্যে এত পুরসভা রয়েছে, ৩৪১টা ব্লক আছে। তার মধ্যে তিনটে ছোট ঘটনা নিয়ে রোজ গালাগালি দিয়ে বেড়াবে, দুর্নীতি হয়েছে বলে প্ল্যান করে ধারাবাহিক লিখবে!’’ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘‘অন্য রাজ্যে ৯০% দুর্নীতি হয়। আমাদের রাজ্যে অনেক কম। আমরা সেটাকে ১০%-এ নামিয়ে এনেছি।’’
হাজরা মোড়ে বুধবার কলকাতা পুলিশের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর অনুষ্ঠান-মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে একই বন্ধনীতে এবিপি-র নাম টেনে এনে বলেন, ‘‘সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি এবং এবিপি— চারটে শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে আমাদের। সব এক হয়েছে!’’ মমতার দাবি, ‘‘অল্প দু-একটা ঘটনা ঘটেছে এবং তার জন্য ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেটাকেই বড় করে দেখানো হচ্ছে। বিরোধীরা সেটাকে নিয়েই শোরগোল করছে।’’
একমাত্র আনন্দবাজার ছাড়া অন্য কারও সম্পর্কে তাঁর যে কোনও অভিযোগ নেই, সে কথাও এ দিন অকপটে ঘোষণা করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি অন্য কাগজকে বলছি না। অন্য কাউকে নিয়ে বলার দরকারও হয় না।’’ আনন্দবাজারের নাম করে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তিন-চারটে করে খবর করে রোজ রাজ্যের এবং সরকারের বদনাম করা হচ্ছে। সব সময়ে এরা বাংলার বদনাম করবে। এর পরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘মনে রাখতে হবে, লেবু কচলালে কিন্তু তেতো হবে!’’
আরও পড়ুন: কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন কোনগুলি, দেখে নিন এক নজরে
বিভিন্ন জেলায় যে সাংবাদিকেরা আন্দবাজারের জন্য খবর করছেন, তাঁরা বিজেপির কাছ থেকে নিয়মিত টাকা পান বলেও আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিজেপির এখন অনেক টাকা। পকেট-মানির ব্যবস্থা হয়ে যায়। তবে ক’দিন এ ভাবে টাকা দেওয়া হয়, দেখব। আগামী ২০২১ সালের ভোটের পরে কাউকে (বিরোধীদের) খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন ওই টাকা কে কী ভাবে সঞ্চয় করে রাখলেন, দেখা যাবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ-ও বলেন, সমালোচনা করলে তিনি খুশি হন। তবে আনন্দবাজার যা করছে, তা সমালোচনা নয়, বিরোধিতা।