মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলের প্রশাসনিক জনসভা থেকে শুক্রবার নতুন জেলা গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের ২৩তম জেলা হিসেবে জন্ম নিল পশ্চিম বর্ধমান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার নতুন জেলা গঠনের কথা ঘোষণা করলেন। আসানসোলে আয়োজিত প্রশাসনিক জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, ‘‘নতুন জেলার জন্মদিন ৭ এপ্রিল, ২০১৭।’’ বর্ধমান জেলার শিল্পাঞ্চল এবং খনি অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত হল এই নতুন জেলা। আর জেলার কৃষিপ্রধান অঞ্চলের নাম হল পূর্ব বর্ধমান। প্রশাসনিক সুবিধার কথা মাথায় রেখেই জেলা ভাগ করা হল বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপে দুই বর্ধমানের উন্নয়নের গতিই আরও বাড়বে বলে মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন।
দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার পর বর্ধমানের উন্নয়ন আরও তরান্বিত হবে, মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিম বর্ধমানের সদর শহর হচ্ছে আসানসোল। থাকছে ২টি মহকুমা— আসানসোল ও দুর্গাপুর। জেলায় থাকছে ১৬টি থানা। এর মধ্যে আসানসোল মহকুমায় থাকছে ৯টি থানা। সেগুলি হল— চিত্তরঞ্জন, সালানপুর, কুলটি, হীরাপুর, আসানসোল উত্তর, আসানসোল দক্ষিণ, বারাবনি, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জ। বাকি ৭টি থানা দুর্গাপুর মহকুমার অন্তর্ভুক্ত। সেগুলি হল— অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, ফরিদপুর-দুর্গাপুর, দুর্গাপুর, নিউ টাউনশিপ, কোকওভেন ও কাঁকসা। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা ৯টি— পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর পূর্ব, দুর্গাপুর পশ্চিম, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল উত্তর, আসানসোল দক্ষিণ, কুলটি, বারাবনি।
আরও পড়ুন: দিলীপের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন
পূর্ব বর্ধমান জেলায় থাকছে ৪টি মহকুমা— বর্ধমান সদর উত্তর, বর্ধমান সদর দক্ষিণ, কালনা ও কাটোয়া। থাকছে ১০টি থানা। সেগুলি হল— বর্ধমান, ভাতার, আউশগ্রাম, গলসি, বুদবুদ, মেমারি, জামালপুর, রায়না, মাধবডিহি, খণ্ডঘোষ, কাটোয়া, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট, কালনা, পূর্বস্থলী, মন্তেশ্বর ও নাদনঘাট। এই জেলায় থাকছে ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্র। সেগুলি হল— মন্তেশ্বর, খণ্ডঘোষ, জামালপুর, মেমারি, বর্ধমান উত্তর, বর্ধমান দক্ষিণ, রায়না, মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম, আউশগ্রাম, ভাতার, কাটোয়া, কালনা, পূর্বস্থলী উত্তর, পূর্বস্থলী দক্ষিণ ও গলসি। তবে গলসি বিধানসভা কেন্দ্রের ২৯৩টি পার্টের মধ্যে ৮১টি পার্ট পশ্চিম বর্ধমানে পড়ছে।