মাঝেরহাট: নয়া নকশা নিয়ে রেলের সঙ্গে কথা রাজ্যের

রেলের সবুজ সঙ্কেত কেন জরুরি? পূর্ত দফতর সূত্র বলছে, মাঝেরহাট সেতুটি পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-বজবজ লাইনের উপর দিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৮
Share:

মাঝেরহাটে সেতু ভেঙে পড়ার পরে নতুন সেতু এক বছরের মধ্যে গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

মাঝেরহাটের নতুন সেতু যে ‘কেবল স্টেড’ প্রযুক্তিতে তৈরি হবে, সে ব্যাপারে এক প্রকার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেতুর নকশা রাতারাতি চূড়ান্ত করে ফেলা কঠিন বলেই মনে করছেন পূর্ত দফতরের কর্তাদের একাংশ। কারণ, নকশা চূড়ান্ত করার আগে রেল এবং মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া জরুরি। এ ব্যাপারে দুই রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দৌত্য শুরু হয়েছে বলেও প্রশাসনিক সূত্রে খবর।

Advertisement

রেলের সবুজ সঙ্কেত কেন জরুরি? পূর্ত দফতর সূত্র বলছে, মাঝেরহাট সেতুটি পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-বজবজ লাইনের উপর দিয়ে গিয়েছে। এই সেতুর মাঝের অংশটি ‘রেল ওভার ব্রিজ’ (আরওবি) হিসেবে চিহ্নিত। পাশাপাশি সেতুর লাগোয়া এলাকায় চলছে জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্পের কাজ। ফলে গোটা সেতুর নকশা নিয়ে রেলের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পূর্ত দফতরের অন্দরের খবর, ভেঙে পড়া সেতুর প্রস্থ ছিল কমবেশি ১০ মিটার। আদর্শ পরিস্থিতিতে ‘দুই লেন’-এর রাস্তার প্রস্থ হয় ৭ মিটার। যানবাহনের চাপের কথা মাথায় রেখে রাজ্য নতুন সেতুটি ৪ লেনের করতে চাইছে। ফলে সেটিকে ন্যূনতম ১৪ মিটার, এবং মাঝে ডিভাইডার থাকলে আরও একটু চওড়া করতে হবে। পূর্ত দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রস্তাবিত সেতুর প্রস্থ ১৪ মিটার বা তার কিছুটা বেশি করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে রেল এবং মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের মতামত নিতে হবে। সেতুর উপর পথচারীদের জন্য পৃথক পথ তৈরি করা যাবে কিনা, তা-ও আলোচনার পর্বে স্থির হবে।’’

Advertisement

মাঝেরহাটে সেতু ভেঙে পড়ার পরে নতুন সেতু এক বছরের মধ্যে গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্মাণকারী সংস্থা বাছাইয়ের কাজও ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে রাজ্য সরকার।

পূর্ত দফতর সূত্রের দাবি, নির্মাণকারী সংস্থাকে আগামী বছর ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন সেতু তৈরির কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি নকশা চূড়ান্ত করে মূল কাজে হাত দেওয়া যাবে, ততই সময়ে কাজ শেষ করা সহজ হবে। তবে নবান্নের কর্তাদের একাংশের দাবি, প্রশাসনিক কাজকর্ম কোনও অবস্থাতেই সময়ে সেতু তৈরির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement