প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার ভিডিয়ো পোস্ট করে বিজেপির অমিত মালব্য আক্রমণ করেন মহুয়া মৈত্রকে। তার জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতা তুলে ধরে মহুয়া মৈত্রকে নিশানা করেছিলেন অমিত মালবীয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তার পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান এবং বাংলার পর্যবেক্ষক মালবীয় ‘প্রধানমন্ত্রীর কালীভক্তি’র প্রসঙ্গ টেনে মহুয়ার ‘কালীকে অপমান’-এর দিকে আঙুল তুলেছিলেন। মহুয়া পাল্টা লিখলেন, ‘আপনাদের প্রভুদের বলুন, যা জানেন না তা নিয়ে যেন আলটপকা মন্তব্য না করেন।’
রবিবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে, রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে, ভিডিয়ো কনফারেন্সে বক্তৃতা করেন মোদী। বাংলায় কালীপুজোর মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে রামকৃষ্ণ এবং বিবেকানন্দের ভক্তির কথা উল্লেখ করেন তিনি। মোদী বলেন, এঁদের ভক্তিই এখন প্রতিফলিত হয় বাংলার কালীপুজোয়। তাঁর কথায়, ‘‘কালী নিয়ে বাংলার মনীষীদের এই বোধ, কালীর প্রতি এই ভক্তি, নিষ্ঠাভরে করা বাংলার কালী পুজোতেও দেখা যায়।’’ এমনকি, তিনি নিজে বেলুড়মঠে গিয়ে কালী মন্দিরের মুখোমুখি যখনই বসেছেন, তখনই গভীর এই ভক্তিভাব অনুভব করেছেন বলেও মোদী জানান তাঁর বক্তৃতায়।
প্রধানমন্ত্রী অবশ্য ‘কালী’ পোস্টার বা মহুয়ার কালীপুজো নিয়ে করা মন্তব্যের প্রসঙ্গে যাননি। কিন্তু তাঁর এই বক্তৃতার কথা তুলে ধরেই সেই বিতর্কে ঢুকে পড়লেন মালবীয়। তিনি লেখেন, ‘মোদী যেখানে বাংলা তথা গোটা দেশের কালীভক্তির কথা স্মরণ করছেন, সেখানে বাংলার এক সাংসদ কালীকে অপমান করছেন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন মহুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, তা নিয়েও সমালোচনা করেন মালবীয়। এর পরই মহুয়ার টুইট, ‘বঙ্গবিজেপির ট্রোলকর্তাকে আমার পরামর্শ, আপনাদের প্রভুদের বলুন, যা জানেন না তা নিয়ে আলটপকা মন্তব্য যেন না করেন। এর আগে বাংলায় দিদি ও দিদি বলে পাদুকাঘাত খেয়েছেন, এ বার মা ও মা বলতে এলে তাঁদের বুকের উপরে পদাঘাত হবে।’
মালবীয় বনাম মহুয়ার টুইট যুদ্ধের মধ্যেই কামারহাটির এক সভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের আর এক সাংসদ সৌগত রায়। কালীপুজো নিয়ে মহুয়ার মন্তব্য দল সমর্থন করে না বলে সৌগতই বিবৃতি দিয়েছিলেন বিতর্কের একদম গোড়ায়। এ দিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা এবং তার পর তৈরি হওয়া বিতর্কের কথা উঠতেই প্রবীণ সাংসদের জবাব, ‘‘বাংলায় কালী পুজো কী ভাবে হবে, তা বাঙালিদের শেখাতে হবে না।’’ একই সঙ্গে বলেন, “তৃণমূল কোনও রকম ধর্মীয় বিতর্ক চায়নি, তাই নিজের দলের সাংসদকেও সমর্থন করেনি। তা বলে আমরা মা কালীকে নিয়ে অমিত মালবীয়র কাছ থেকে জ্ঞানও শুনব না।’’