উত্তরপত্র বাতিল করার অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক পরীক্ষার্থী। ফাইল চিত্র।
টেট (প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগে যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা), এসএসসির পর এ বার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) বাতিল করার অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক পরীক্ষার্থী।
তাঁর পরিবর্তে অন্য কেউ উত্তরপত্রে ‘কলম চালিয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তি। উত্তরপত্র যাচাইয়ের জন্য শুক্রবার সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির (সিএফএসএল) ডিরেক্টর এবং ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের দাবি, ‘ভুল’ থাকায় উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) বাতিল করা হয়েছে ওই পরীক্ষার্থীর। কিন্তু পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, তিনি যথাযথ ভাবেই উত্তর দিয়েছেন। অন্য কলমের কালি উত্তরপত্রে রয়েছে বলে আরটিআই (তথ্যের অধিকার আইন) করে জানতে পেরেছেন, এমনই দাবি করেন মামলাকারী। যে কালো কলমে পরীক্ষা দিয়েছিলেন পরীক্ষার্থী, সেটি তিনি আদালতে জমা দিয়েছেন।
বিচারপতি জানিয়েছেন, উত্তরপত্র খতিয়ে দেখবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি। পরীক্ষার্থীর কলমের কালির সঙ্গে অন্য কলমের কালি যাচাই করা হবে। পরীক্ষার খাতা, কলম শুক্রবার, ২৫ অগস্টের মধ্যে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে তা সিএফএসএল-কে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ব্যাপারে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিএফএসএল-কে। এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি এখন নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
মামলাকারী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। বঞ্চিত করা হয়েছে আমাকে। আরও অনেকের সঙ্গে এ রকম দুর্নীতি হয়েছে।’’ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমও বলেন, ‘‘আব্দুল হামিদকে বঞ্চিত করা হয়েছে। শুধু মাত্র হামিদের সঙ্গে ঘটেছে তা নয়, আরও অনেকের সঙ্গে হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি এই পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশ হয় ওই বছরের ১১ অগস্ট।