প্রতীকী ছবি।
মূল্যায়নের ভিত্তিতে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে নম্বরের গরমিল হলে স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শনিবার পর্ষদ জানিয়েছে, পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও গরমিল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় চলতি বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। তবে জুলাই মাসের মধ্যে মূল্যায়নের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের ওই দুই পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করা হবে। শুক্রবার সেই মূল্যায়ন পদ্ধতির কাঠামোও জানিয়ে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে মূল্যায়নের সময় নম্বর নিয়ে যাতে কোনও রকমের দুর্নীতি না হয়, সে দিকে কড়া নজর রাখার কথা শনিবার পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং দশম শ্রেণির ইন্টার্নাল ফর্মেটিভ অ্যাসেসমেন্টে প্রাপ্ত নম্বরের ফলাফলকে সমগুরুত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। অন্য দিকে, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ক্ষেত্রে মাধ্যমিকে যে ৪টি বিষয়ে পড়ুয়া সবচেয়ে ভাল নম্বর পেয়েছে, তার ৪০ শতাংশ এবং একাদশ শ্রেণির বার্ষিক (থিয়োরি) পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৬০ শতাংশ গুরুত্ব (ওয়েটেজ) দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। এর সঙ্গে প্র্যাকটিক্যাল বা প্রজেক্টের নম্বরও যুক্ত থাকবে। এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট না হলে করোনা পরিস্থিতির পর লিখিত পরীক্ষায় বসতে পারে পড়ুয়া। সে ক্ষেত্রে ওই পরীক্ষার নম্বরই চূড়ান্ত হলে গণ্য করা হবে।
শনিবার পর্ষদ আরও জানিয়েছে, পর্ষদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ২১ জুন থেকে নম্বর জমা দেওয়া যাবে। এ ছাড়া, আগামী ২৪ জুনের মধ্যে পড়ুয়ার নবম শ্রেণির বিষয় ভিত্তিক নম্বর জমা দিতে হবে স্কুলগুলিকে। এই নম্বরে কোনও গরমিল পাওয়া গেলে স্কুলগুলির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে পর্ষদ। এমনকি, প্রয়োজনে স্কুলগুলির কাছ থেকে নম্বরের রেজিস্ট্রার খাতাও চাইতে পারেন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ।