—প্রতীকী ছবি
একেই তো পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তার উপরে রয়েছে অতিমারির আবহে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীদের বসানোর চিন্তা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, দুই সমস্যার সুরাহা করে সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য এ বার মাধ্যমিকে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় দেড় গুণ বাড়ানো হচ্ছে। তাই রাজ্যের কোন স্কুলের পরিকাঠামো কেমন, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকাদের কাছে।
গত বার সারা রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২৮৩৯। আর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮। এ বছর টেস্ট না-হওয়ায় দশম শ্রেণির সব ছাত্রছাত্রীই মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চলেছে। সেই জন্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটা বাড়বে বলেই মনে করছেন পর্ষদকর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, করোনার কারণে পরীক্ষার হলে আগের মতো বেশি পরীক্ষার্থী বসানো যাবে না। পর্ষদের এক আধিকারিক জানান, পরীক্ষা নেওয়ার পরিকাঠামো সংশ্লিষ্ট স্কুলের আছে কি না, সেটা যাচাই করে তবেই পরীক্ষা কেন্দ্র করার ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা পিছিয়ে জুনের প্রথমে নেওয়ার কথা। সেই সময় বর্ষা রাজ্যের দোরগোড়ায় চলে আসবে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও শুরু হয়ে যাবে কোথাও কোথাও। গ্রামীণ এলাকার অনেক স্কুলভবনই বর্ষায় বেহাল হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড় আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু স্কুলভবন। ফলে যথাযথ পরিকাঠামো আছে, এমন কত স্কুল মিলবে, সেই বিষয়েও চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন পর্ষদকর্তারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার শতল কলসা হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক পুলককুমার বসু জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার আসন পড়ে। তবে এ বার জুনে পরীক্ষার সিদ্ধান্তের ফলে চিন্তা বেড়েছে। ‘‘বর্ষায় আমাদের স্কুলে পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিকাঠামো এখনও নেই। আমপানে স্কুলভবনর ক্ষতি হয়েছিল। কিছুটা সারানো হলেও পুরো মেরামতি হয়নি। তা ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন লোডশেডিং হয়ে গেলে এবং তখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ঘর অন্ধকার হয়ে যেতে পারে। তখন জেনারেটর লাগবে। তাই চিন্তা বাড়ছে,’’ বলেন পুলকবাবু। পরীক্ষার এখনও পাঁচ মাস দেরি। কিন্তু পরীক্ষা নেওয়ার পরিকাঠামো কত স্কুলের আছে, এখন থেকেই তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষা বিভাগের এক কর্তা। ‘‘যে-সব স্কুলে কোনও দিন মাধ্যমিকের আসন পড়েনি, সেখানেও ‘রিকুইজেশন’ চাওয়া হয়েছে। আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত কোনও স্কুলে সারাইয়ের কাজ যদি কিছু বাকি থাকে, তা দ্রুত শেষ করা হবে,’’ বলেন ওই শিক্ষাকর্তা।