ফাইল চিত্র
জুলাই মাসের দ্বিতীয়ার্ধে বেরোবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। শনিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মূল্যায়নের সমস্ত প্রক্রিয়া যদি সময়মতো সম্পন্ন হয়, তা হলে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস জানান, ২৫ থেকে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল বেরোতে পারে।
চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির নম্বর একটি বিশেষ ওয়েবসাইটে ২৪ জুনের মধ্যে আপলোড করার নির্দেশও এ দিন দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তারা জানিয়েছে, ওয়েবসাইটে নম্বর আপলোড করার সময় কোনও ধরনের বেনিয়ম ধরা পড়লে সেই স্কুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদও একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কয়েকটি স্কুলের নামের তালিকা দিয়ে জানিয়েছে, স্কুলগুলিকে ২৩ জুনের মধ্যে একাদশ শ্রেণির নম্বর সংসদের অফিসে পাঠাতে হবে। সংসদ আরও জানিয়েছে, যে সব পরীক্ষার্থী একাদশ শ্রেণির কোনও পরীক্ষাই দেয়নি, তাঁদের মার্কশিটে একাদশ শ্রেণির নম্বর না-থাকায় উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিটে শুধু দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির নম্বর প্রতিফলিত হবে।
সংসদের বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গিয়েছে, অজস্র স্কুল রয়েছে এখনও একাদশ শ্রেণির নম্বর সংসদকে পাঠায়নি। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “এত বেশি সংখ্যক স্কুল একাদশের নম্বর জমা দেয়নি, সেই বিষয়টি কেন সংসদের নজর এড়িয়ে গেল?” যদিও মহুয়াদেবী জানান, এই তালিকায় এমন স্কুল রয়েছে, যারা কিছু ছাত্রের নম্বর জমা দিয়েছে। বাকিদের নম্বর জমা দেয়নি। সেই সব স্কুলকেও পুরো তালিকা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে করোনার কারণে বহু স্কুলের কাজ ব্যাহত হয়েছে। তাই তারা নম্বর পাঠাতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি'র সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, “মূল্যায়নে যেন কোনও বৈষম্য যেন না হয়, সে জন্য প্রয়োজনে একাদশের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা চেয়ে নিক সংসদ।”
তবে পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়নের পদ্ধতি ঘোষণার পরে অনেকে বলছেন, নবম শ্রেণিতে অনেক সময় কম নম্বর ওঠে। আবার একাদশ শ্রেণির পাঠ্য যেহেতু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় থাকে না তাই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাকে কম গুরুত্ব দিয়ে অনেক পরীক্ষা দেয়। সে ক্ষেত্রে এ বারে যে পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সার্বিক মূল্যায়নে কম নম্বর উঠতে পারে। যদিও কল্যাণময়বাবু ও মহুয়াদেবী জানান, মূল্যায়ন বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই করা হয়েছে। নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও পরীক্ষার্থীই অন্যায্য ভাবে বঞ্চিত হবেন না। মহুয়াদেবী বলেন, “পরীক্ষার্থী একাদশে যে বিষয়ে সর্বোচ্চ পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে একাদশের নম্বরের ওয়েটেজ দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের সুবিধাই হবে।”