ভিনরাজ্যে যাওয়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি মদন মিত্রের। —ফাইল ছবি
সারদা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে না-যাওয়ার শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বারাসতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেই শর্ত শিথিল করার আবেদন জানান তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। তিনি যাতে দেশের যে-কোনও শহরে যেতে পারেন, তার অনুমতি চেয়েছেন তিনি। আপত্তি জানিয়েছে সিবিআই। বিষয়টি নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানি হওয়ার কথা।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, শর্ত অনুযায়ী সারদা মামলায় জামিনে মুক্ত অসমের সদানন্দ গগৈয়ের গুয়াহাটির বাইরে যাওয়ার কথা নয়। সদানন্দ জামিনের শর্ত মানছেন না। অনুমতি ছাড়া তিনি গুয়াহাটির বাইরে গিয়েছেন, এমন কিছু তথ্যপ্রমাণ এ দিন বিচারককে দিয়েছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের বক্তব্য, জামিনের পরে নানা সময়ে দেশের অন্য শহরে যাওয়ার জন্য আদালতে অনুমতি চেয়ে পেয়েছেন মদনবাবু। সিবিআই আপত্তি করেনি। সেই তালিকায় দিল্লি, মুম্বই-সহ কিছু শহর রয়েছে। এখন সেখানে যেতে হলে নতুন করে আর আদালতের অনুমতি নিতে হয় না মদনবাবুকে। শুধু রাজ্য ছাড়ার আগে সিবিআই-কে জানিয়ে যেতে হয়। ওই তালিকার বাইরে নতুন কোনও শহরে যেতে হলে তাঁকে ফের আদালতের অনুমতি নিতে হবে। মদনবাবুর যুক্তি, দেশ-বিদেশের পরিবহণ সংগঠনের সঙ্গে তিনি যুক্ত। সেই সব সংগঠনের বৈঠক থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু তিনি যেতে পারছেন না।
প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মঙ্গলবার ফোনে বলেন, ‘‘আমি অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (এএইআই)-র প্রেসিডেন্ট। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল (ফিয়া)-এর এগ্জিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট। ওদের বৈঠকে আমাকে ডাকে।’’ সেখানে যোগ দিতেই তিনি জামিনের শর্ত শিথিলের আবেদন করেছেন।
সারদা মামলায় জামিনে মুক্ত প্রায় প্রত্যেকেই এ দিন বিচারক সোমনাথ চক্রবর্তীর বিশেষ আদালতে হাজির ছিলেন। হাজির করা হয়েছিল সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং অন্যতম ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়কেও। ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন সারদা মামলা এখন বারাসতে এক জায়গায় আনা হচ্ছে। সারদা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষের অভিযোগ, এখনও সারদা নিয়ে কিছু মামলায় তাঁকে অন্য আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। যদিও সেই আদালত থেকে মামলার কাগজপত্র বারাসতে চলে এসেছে। সেখানে তাই শুনানিও হচ্ছে না। শুধু শুধু হাজিরা দিতে হচ্ছে।