—প্রতীকী চিত্র।
শিলিগুড়িতে কিশোরীর রহস্যমৃত্যুতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তার প্রেমিক। ধৃতের এক পড়শির দাবি, মঙ্গলবার ওই কিশোরীকে অচৈতন্য অবস্থায় নিজের বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বার করছিলেন ওই যুবক। জিজ্ঞেস করায় তিনি জানিয়েছিলেন, কিশোরী নেশা করেছে। প্রতিবেশীর এই বয়ানের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, নিজের বাড়িতেই কিশোরীকে খুনের পর তাকে গাড়িতে করে উত্তরকন্যার পাশে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসেছেন যুবক।
শুধু প্রেমিকই নন, ওই যুবকের এক বন্ধুকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিংহ বলেন, ‘‘ধৃত দু’জনের মধ্যে এক জন নাবালক। দু’জনকেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের বয়ানেও নানা অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।’’
বিরিয়ানি খাওয়ার নাম করে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর থেকে কিশোরীর খোঁজ মিলছিল না। পরিবার নানা জায়গায় খোঁজ করেও হদিস পায়নি। অবশেষে পরে তারা জানতে পারে, উত্তরকন্যার পাশে একটি জঙ্গলে মেয়ের দেহ পড়ে ছিল। মেয়েটির প্রেমিক তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। কিশোরীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই বিষয়টি পুলিশে জানানো হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে কিশোরীর প্রেমিক এবং প্রেমিকের এক বন্ধুকে গ্রেফতার করে।
প্রেমিকই কিশোরীকে উদ্ধার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা অবশ্য মানতে রাজি নন যুবকের প্রতিবেশীরা। বাবলি মজুমদার নামে পড়শি বলেন, ‘‘ছেলেটা নেশা করে। মেয়েটির অবাধ যাতায়াত ছিল ছেলেটার বাড়িতে। গতকাল ছেলেটা মেয়েটাকে এক প্রকার টেনেহিঁচড়ে বাড়ি থাকে অচৈতন্য অবস্থায় বার করে। আমরা তখনই ছেলেটাকে বলি, মেয়েটার কী হয়েছে? সে জানায়, মেয়েটি নেশা করেছে। এর পর তাকে গাড়িতে করে অন্যত্র নিয়ে যায়। কিন্তু মেয়েটিকে যে অবস্থায় বার করছিল, তখনই বোঝা যাচ্ছিল, মেয়েটা মারা গিয়েছে।’’
তদন্তকারীদের একাংশের বক্তব্য, কিশোরীর গলায় দাগ রয়েছে। ধৃত প্রেমিকের শরীরেও আঁচড়ের দাগ ছিল। তাঁদের অনুমান, প্রেমিকই নিজের বাড়িতে খুন করেছেন কিশোরীকে। তা ঢাকতেই প্রেমিকার দেহ উদ্ধার এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার গল্প ফেঁদেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উত্তরকন্যার পাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালাবে। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নাবালিকার ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো করা হবে।