গরুমারা অভয়ারণ্যে লং-টেলড ব্রডবিল। ছবি: প্রান্তিক চট্টোপাধ্যায়।
পাখি দেখার নেশায় কখনও পাহাড়ে, কখনও অচেনা হ্রদের ধারে তাঁরা পাড়ি জমান মাঝে মাঝেই। কখনও প্রকৃতি হতাশ করে, কখনও বা সন্ধানী চোখ খুঁজে পায় চাহিদার পাখিকে। তবে এ বারের ঘটনা একেবারে অন্য রকম। মহানন্দা অভয়ারণ্যের লংটেল ব্রডবিলের দেখা মিলল হাতের কাছের গরুমারায়!
এ বারও স্বভাবের ‘দোষে’ ধনেশ পাখির ছবি তুলতে গরুমারায় গিয়েছিলেন প্রান্তিক চট্টোপাধ্যায় ও অয়ন পড়িয়া। সোদপুরের বাসিন্দা প্রান্তিকের সঙ্গে ঘাটালের অয়ন সম্পর্কে দাদা ও ভাই। পাহাড় আর পাখির নেশায় দু’জনেই বুঁদ। কোলাখাম ওয়াচটাওয়ারে উঠে ধনেশ খুঁজতে গিয়ে হঠাৎই নজর পড়ে মাথার উপর দিয়েই উড়ে চলেছে সবুজ রঙের পাঁচ-সাতটি পাখি। লেন্স জুম করতেই অবাক কাণ্ড! আরে এ যে মহানন্দা অভয়ারণ্যের লাটপাঞ্চার এলাকার লং টেলড ব্রডবিল!
বনবিভাগের এক কর্তার কথায়, ‘‘এই পাখি এতটা সমতলে থাকে না। এদের বাস মহানন্দার ঘন বনাঞ্চলে। পাহাড়ি আবহাওয়াতেই এরা ভাল থাকে। এর আগে এই বনাঞ্চলে লং টেলড ব্রডবিলের দেখা পাওয়াই যায়নি।’’
আরও পড়ুন: বিদায়বেলায় পর পর রেকর্ড ভাঙছে শীত, কনকনে ঠান্ডা পাহাড় থেকে সমতলে
রাজ আমলের রেলের ইঞ্জিন ফেরানোর দাবি
তবে মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই উধাও হয়েছে গোটা পাখির দল। অচেনা পাড়া পছন্দ না হয়ে তারা কি ফের ফিরে গেল মহানন্দার দিকে? তবে বনকর্তাদের আশা, আবহাওয়ায় খাপ কাইয়ে থাকতে পারলে এই পাখি গরুমারার পর্যটন শিল্পে এক বড় ভূমিকা নেবে।