ছবি: পিটিআই।
ভোটের ব্যবস্থাপনায় রাজ্যের ঘাড়ে চাপল নতুন বোঝা। নির্বাচনী নিরাপত্তায় নিযুক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সাম্মানিক ভাতা রাজ্য সরকারকেই দিতে হবে বলে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই খাতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর। শুধু রাজ্যে কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, রাজ্য পুলিশের যাঁরা ভিন্ জেলায় ভোটের কাজে গিয়েছেন, তাঁদের জন্যও সাম্মানিক ভাতার পরিকল্পনা করছে সরকার।
প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, এমনিতেই ভোটের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের খাওয়া-থাকার ব্যবস্থা করতে হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাতায়াতের জন্য সব ব্যবস্থা রাখতে হয়। গাড়ি এবং তার জ্বালানি মিলিয়ে সেই খরচও বিপুল। কেন্দ্রের নির্দেশে এ বার তাঁদের সাম্মানিক ভাতাও দিতে হবে রাজ্যকে। পুলিশি সূত্রের খবর, এই খাতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে রাজ্যের খরচ সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অতীতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের জন্য সাম্মানিক ভাতার ব্যবস্থা রাজ্যকেই করতে হয়েছিল কি না, তা অবশ্য মনে করতে পারছেন না আধিকারিকদের অনেকেই। তাই এটা নতুন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ষষ্ঠ দফার ভোট পর্যন্ত ৭৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল পশ্চিমবঙ্গে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ১৫ দিন বা তার কম এ রাজ্যে থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কমান্ডান্টদের এক-এক জনের সাম্মানিকের পরিমাণ আড়াই হাজার টাকা। তার পরেও থাকতে হলে প্রতি সপ্তাহে ১২৫০ টাকা করে পাবেন তাঁরা। একই সূত্রে পদমর্যাদার নিরিখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কেউ দুই বা দেড় হাজার টাকার সাম্মানিক পাবেন। থাকার সময়ের নিরিখে একই ভাবে অতিরিক্ত অর্থ (মূল সাম্মানিকের প্রায় অর্ধেক) সাম্মানিকের সঙ্গে যুক্ত হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ভাতা প্রদানের এই নির্দেশের কথা জেনেই রাজ্য পুলিশের যাঁরা ভোটের কাজে ভিন্ জেলায় গিয়েছেন, তাঁদের জন্যও এই পরিকল্পনা শুরু করে পুলিশ-প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল। অর্থ দফতরের কাছে এই মর্মে সুপারিশও পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, এই সুপারিশের ভিত্তিতে পুলিশ-প্রশাসনের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের তালিকা চেয়েছে অর্থ দফতর। শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে তাঁদেরও সাম্মানিক ভাতা দেওয়ার জন্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের।