স্ত্রীর সঙ্গে অর্ণব রায়। ছবি: সংগৃহীত
এক সপ্তাহ পর খোঁজ মিলল নদিয়ার নিখোঁজ নোডাল অফিসার অর্ণব রায়ের। হাওড়া স্টেশন থেকে তাঁকে উদ্ধার করল সিআইডি। আপাতত হাওড়ায় শ্বশুরবাড়িতে রাখা হয়েছে তাঁকে। সিআইডি জানিয়েছে, এখন তাঁর মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। তাই কী কারণে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন, সে বিষয়টি স্পষ্ট করা যায়নি।
সিআইডি-র গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, গত ১৮ এপ্রিল নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই অর্ণববাবুর মোবাইল ফোন সুইচড অফ ছিল। শেষ টাওয়ার লোকেশন মিলেছিল নদিয়ারই শান্তিপুরে। কিন্তু তাঁর নম্বরের উপর নজর ছিল সিআইডির। এর মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মোবাইল অন হয়। তিনি পরিবারের লোকজন-সহ বেশ কয়েক জনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে শুরু করেন।
টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে সিআইডি অফিসাররা এক প্রকার নিশ্চিত হন, হাওড়া স্টেশন চত্বরে রয়েছেন অর্ণববাবু। তার পরই সিআইডি-র একটি দল হাওড়া স্টেশনে অভিযান চালান। সেখান থেকেই অর্ণববাবুকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তিনি মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় তাঁকে হাওড়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয়েছে তাঁর স্ত্রী অনিষা যশকেও।
ডিআইজি সিআইডি (অপারেশনস) নিশাত পারভেজ বলেন, ‘‘হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে আমরা অর্ণববাবুকে উদ্ধার করে উদ্ধার করে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। কিছুটা স্থিতিশীল হলে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কী কারণে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন, গত সাত দিনে কোথায়-কীভাবে কাটিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের পরই সে সব বিষয় স্পষ্ট হবে।’’
আরও পড়ুন: অর্ণবকে কেউ আটকে রেখেছে, অভিযোগ স্ত্রীর
আসানসোলে বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মার, আক্রান্ত আরও ৫, কাঠগড়ায় তৃণমূল
গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষ্ণনগরের বিপ্রদাস পাল চৌধুরী পলিটেকনিক কলেজের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে উধাও হয়ে যান অর্ণববাবু। ওই দিন দুপুর পর্যন্তও তিনি নির্বাচনী কাজকর্ম করেছিলেন। নদিয়া জেলার ভোট প্রক্রিয়ায় ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের দায়িত্বে ছিলেন অর্ণববাবু। তাঁর নিখোঁজ ঘিরে তীব্র রহস্য দানা বেঁধেছিল। নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নদিয়ার জেলাশাসকের সঙ্গে তাঁর সঙ্ঘাত শুরু হয়েছিল বলে একটি সূত্রে খবর মিললেও সে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান জেলাশাসক এবং তাঁর স্ত্রী অনিষা। তিনি এও জানান, কেউ অর্ণববাবুকে আটকে রেখেছেন। ফলে তৈরি হয় চরম ধোঁয়াশা। হাওড়া স্টেশন থেকে তাঁকে উদ্ধারের পরও সেই রহস্যের জট আপাতত খুলল না।