কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল নিয়ে শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হল।
পাড়ায় পাড়ায় ভোটারদের বাড়ি গিয়ে কড়া নেড়ে কথা বলছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ‘অভয়’ দিচ্ছেন, কেউ যাতে ভয় না পান। পরামর্শ দিচ্ছেন, কোনও রকম দাদাগিরি হলেই তাদের জানাতে। এই ছবি সামনে আসতেই প্রতিবাদী রাজ্যের শাসক বাহিনী। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই টহলে রাজ্যে ভয়-ভীতির পরিবেশ কাটিয়ে সুষ্ঠু ভাবে ভোট সম্পন্ন হবে বলে আশা করছে বিরোধীরা।
শনিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘রুটমার্চের নাম করে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন বিজেপির প্রতিনিধিত্ব না করে। ওদের কাজ নির্বিঘ্ন নির্বাচন নিশ্চিত করা। এই বাড়াবাড়ি চলতে থাকলে বিষয়টি নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব।’’ তবে প্রদেশ কংগ্রেসের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘ভোটের আগে ভয়-ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে এবং ভোটের দিন সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে যথোপযুক্ত কাজ করে, সে জন্য নির্বাচন কমিশনে দাবি করেছিলাম। বাহিনী যদি সেই কাজ ঠিক মতো করে থাকে, তা হলে মানুষের আস্থা বাড়বে।’’ একই ভাবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘এ রাজ্যে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার তো সুরক্ষিত নয়। ফলে নির্বাচন কমিশন যেন সেই দিকে খেয়াল রাখে, এটাই আবেদন। নিজেদের সীমা লঙ্ঘন না করে বাহিনী মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করলে তো ভালই।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অন্যদিকে, রাজ্যের সব বুথকে স্পর্শকতার ঘোষণা করা এবং প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবিতে কাল, সোমবার শ্যামবাজারে ধর্নায় বসবে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা। তবে দলীয় সংগঠন মজবুত না করে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর ভরসা করে ভোট-বৈতরণী পার করা যাবে না বলে দলের কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ। নৈহাটিতে এক কর্মী সভায় রাহুল বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে লাফালে চলবে না। আগে শক্তিশালী বুথ এজেন্ট জোগাড় করতে হবে, যাঁরা বুথ আগলে লড়াই করতে পারবেন।”