প্রতীকী ছবি
প্রথমে ঠিক ছিল, ৪ জানুয়ারি রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১০ দিন পিছিয়ে তা প্রকাশিত হতে চলেছে ১৪ জানুয়ারি। এই নিয়ে জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-এর দফতরের কর্তারা।
ভোটার তালিকা প্রকাশ যে ১০ দিন পিছিয়ে দিতে হল, তার কারণ হিসেবে নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়নে বাড়তি সময় লাগার কথা বলা হচ্ছে। এ বারেই প্রথম ভোটার তালিকায় সংযোজন-বিয়োজন বা নতুন আবেদন বিবেচনা করতে ‘ইআরও-নেট’ ওয়েব বেসড পোর্টাল ব্যবহৃত হয়েছে। সেই ‘ইআরও-নেট’ ব্যবহার করে গোটা দেশে ‘এক ভোটার এক এপিক’ (পরিচয়পত্র) নীতি রূপায়ণ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে সংযোজন–বিয়োজনের কাজ শেষ পর্যায়ে। কমিশন-কর্তাদের বক্তব্য, যে-কোনও নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়িত করতে গেলে একটু সময় লাগে। ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে আপলোড করার সময় ইন্টারনেট সার্ভিস কোনও কোনও জেলায় মন্থর হয়ে গিয়েছিল। সেই সব সমস্যা সামলেই নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রকাশ করার জন্য বাড়তি সময় নিল সিইও-র দফতর।
ইআরও-নেট পোর্টালের মাধ্যমে দেশের যে-কোনও প্রান্ত থেকে তালিকায় নাম তোলা যায়। কমিশনও সংশ্লিষ্ট ভোটারের বিষয়ে দিল্লির সদর দফতর থেকে নজরদারি করতে পারে। এত দিন কোনও ভোটার এক জায়গা থেকে অন্যত্র গিয়ে তালিকায় নাম তুললে তাঁর দু’টি এপিক নম্বর হত।