গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে আঙুল উঁচিয়ে কালির দাগ দেখাচ্ছেন সেলেব্রিটি, হেভিওয়েটরা। কিন্তু বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের মঙ্গলকোটের মাজিগ্রামের ভোটারদের অন্য অভিজ্ঞতা। আঙুল দেখানো নয়, শুঁকে দেখছেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন? অভিযোগ, ইভিএম-এ তৃণমূলের প্রতীকের পাশের বোতামে আগে থেকেই লাগিয়ে রাখা হয়েছিল আতর।
ভোট দেওয়ার পর আঙুলের গন্ধ থেকেই দলের কর্মীরা বুঝে যাচ্ছেন, তৃণমূলে ভোট দিয়েছেন কি না। তার পর সেই অনুযায়ী দাওয়াই। যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বীরভূম কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ভোটের আগে থেকেই হুমকি, শাসানি, মারধরের অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। তাতে কি সত্যিই কাজ হচ্ছে? সব ভোট তৃণমূলের প্রতীকে পড়ছে তো? সেটা যাচাই করতে অভিনব কৌশল প্রয়োগের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম অঞ্চলের বকুলিয়ার ১৩২ নম্বর বুথে।
আরও পড়ুন: লাইভ: সকাল ১১টা পর্যন্ত গোটা দেশে ভোট পড়ল ২৩.৪৯ শতাংশ
কী সেই কৌশল? স্থানীয় সূত্রে খবর, এক শ্রেণির ভোটকর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তৃণমূল কর্মীরা ইভিএমে দলের প্রতীকের পাশের বোতামে (যেখানে টিপে ভোট দেওয়া হয়) আতর লাগিয়ে রাখা হয়। তৃণমূলকে ভোট দিলেই সেই আতরের গন্ধ লেগে যাচ্ছে আঙুলে। এর পর কেউ ভোট দিয়ে বেরোলেই তাঁর আঙুল শুঁকে পরীক্ষা করেন তৃণমূল কর্মীরা। কারও আঙুলে গন্ধ না থাকলেই তাঁকে চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বুথের ভিতরে যেমন ছিল ‘আতর’ দাওয়াই, বাইরেও কার্যত ছিল তৃণমূলের জাল বিছানো। অভিযোগ, বুথের ২০০ মিটারের মতো দূরে তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় বসে ছিলেন। ভোটাররা বুথে যাওয়ার আগেই তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুড়ি-নকুলদানা বা ঘুঘনি-মুড়ির প্যাকেট। বুথের দিকে আর এগোতে দেওয়া হয়নি। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ির পথে। ভোটাররাও অশান্তির ভয়ে ফিরতি পথ ধরেছেন।
আরও পড়ুন: লাইভ: সন্ত্রাসের অভিযোগ, লাঠিসোটা নিয়ে নানুরে পথে বিজেপি কর্মীরা
অভিযোগ আরও রয়েছে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, ভোটকর্মী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও নিজেদের পক্ষে কাজ করাতে তৎপর ছিল তৃণমূল। ভোটের আগের রাতেই তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় শাসক দলের তরফে। বিলি করা হয় সিগারেট, প্যাকেটজাত খাবারও।