হুগলির চুঁচুড়ায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে রত্না দে নাগ। —ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি
চড়ক, চৈত্র সংক্রান্তি পেরিয়ে পয়লা বৈশাখ। সামাজিক পরবের এই ত্র্যহস্পর্শের সঙ্গে যোগ হয়েছে গরম। বাঙালিয়ানার এমন পর্বে ভোটের কচকচানি কারই বা ভাল লাগে। কিন্তু তা বলে ভরা ভোটের মরসুমে কি আর ঘরে বসে থাকবেন রাজনীতিবিদরা, প্রার্থীরা? থাকলেনও না। বরং রাজনীতির ঝাঁজ কমিয়েউৎসবের স্রোতে গা ভাসিয়েই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার সারলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। উঠল ঢাকের বোল, উলু-শঙ্খধ্বনি। রাস্তায় নেমে আলপনায় তুলির টান দিলেন প্রার্থীরা। অভিনব কায়দায় চলল জনসংযোগ।
উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থীর কথাই ধরা যাক। রাস্তার উপর বিশাল এলাকা জুড়ে আলপনা দেওয়া হয়েছে।এলাকায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়। পথচলতি মানুষও অনেকে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। কারণ, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আলপনা আঁকছেন যে। রাজনীতির গাম্ভীর্য ছেড়ে মিশে গেলেন সাধারণের সঙ্গে। ঢাক-কাঁসরের বোলে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল আদ্যপান্ত বাঙালি উৎসবের আবেশ।
সকাল থেকেই চুঁচুড়ার ঘড়ি মোড়ে সাজ সাজ রব। যুবক থেকে বৃদ্ধ, প্রায় সবাই নতুন ধুতি-পাঞ্জাবিতে চলে এসেছেন এখানে। মহিলারা লাল পাড় ঘি-রঙা শাড়ি। বাংলা নববর্ষে গোটা এলাকা যেন আদ্যপান্ত বাঙালি সাজে সুসজ্জিত। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও ছিল। আর এই জনতার ভিড়েই মিশে হুগলি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগ। সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠল শঙ্খ-উলুধ্বনি। প্রার্থী নিজেও মেতে উঠলেন বর্ষবরণে। তিনিও রাস্তায় আলপনা আঁকলেন নিজে হাতে। সঙ্গে ছিল নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
আরও পডু়ন: ঘৃণা ভাষণ: যোগী-মায়াবতীকে নির্বাচন কমিশনের শাস্তি, নিষেধাজ্ঞা জারি প্রচারে
আরও পড়ুন: মন্দির থেকে ফিরলেন যশোদাবেন, বললেন, সব পুজো ওঁর জন্যই...
কারও কাছে হাত জোর করে ভোট চাওয়া নেই, মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ নেই। রাজনীতির তরজাও উধাও। তবু উৎসবের আবহেই যেন ছুঁয়ে গেল লোকসভা ভোটের প্রচার। রাজনীতির ঝাঁজ কমিয়েও বাংলা ১৪২৬ নববর্ষের প্রথম দিনে প্রার্থীরা কার্যত থাকলেন রাজনীতিতেই। একটাও রাজনৈতিক বাক্য উচ্চারণ করলেন না। সৌজন্যও থাকল। জনসংযোগও হল।