ফাইল চিত্র।
পাঁচ, দশ।— ১৯৫৭ থেকে ২০০৯, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট প্রার্থীদের জয়ের সংখ্যা যথাক্রমে এটাই। শুক্রবার বামফ্রন্ট ২৫টি কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলেও সেই তালিকায় নেই আসানসোলের নাম। এই পরিস্থিতিতে শহরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নেতা, কর্মীদের একাংশের জল্পনা, এই কেন্দ্রে কি এ বার কংগ্রেসই প্রার্থী দেবে।
এ পর্যন্ত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের অতুল্য ঘোষ, মনোমোহন দাঁ ও আনন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়েরা পাঁচ বার জিতেছেন। ১৯৫৭-য় আসানসোলে লোকসভা কেন্দ্র দু’টি ছিল। তার পরে থেকেই বর্তমান আসানসোল কেন্দ্রটি। বাম সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী রবিন সেন, হারাধন রায়, বিকাশ চৌধুরী এবং বংশগোপাল চৌধুরীরা জিতেছেন ন’বার। এক বার জিতেছেন বাম সমর্থিত সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রার্থী দেবেন সেন।
এলাকার বাম কর্মী, সমর্থক, নেতাদের একাংশের ধারণা ছিল, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রার্থী হিসেবে আসানসোল কেন্দ্রে প্রার্থী হবে তাঁদেরই। সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব সূত্রে খবর, দলের রাজ্য কমিটির কাছে প্রার্থী হিসেবে এক পরিচিত শ্রমিক নেতার নামও সুপারিশ করা হয়। তবে শুক্রবার ২৫ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসানসোলে দলের প্রার্থী থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ, মনে করছেন আসানসোলে সিপিএমের কর্মীদের একাংশ।
প্রার্থীর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য বংশগোপালবাবু বলেন, ‘‘কোন দল থেকে কে প্রার্থী হলেন, তা বড় কথা নয়। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থীকে জেতানোই মূল কথা। তবে আমাদের দাবি, এখানে সিপিএমেরই প্রার্থী হোক।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলা নেতাও জানান, দলের প্রার্থীকে দাঁড় করানোর জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে এখনও দরবার জারি রয়েছে।
উল্টো দিকে, শুক্রবার বামেদের প্রার্থী ঘোষণার পরে কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্ব এক প্রকার নিশ্চিত আসানসোল কেন্দ্রে এ বার জোট প্রার্থী হচ্ছেন তাঁদের দল থেকেই। দলের জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি প্রসেনজিৎ পুইতন্ডি বলেন, ‘‘জেলা থেকে প্রাথমিক ভাবে পাঁচ জন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব আকারে প্রদেশে পাঠানো হয়েছে। এ বার কলকাতা ও দিল্লিই প্রার্থী ঠিক করবে।’’ কংগ্রেস সূত্রের খবর, এই লোকসভা কেন্দ্রে চিরকালই শ্রমিক-ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে কোনও শ্রমিক নেতাকে এ বার প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের একাংশ।