শঙ্করের প্রচারে প্রিয়ঙ্কা, রাহুল?

শঙ্করবাবুর দাবি, বিজেপি, সিপিএম, তৃণমূল কেউই পাহাড়ের মানুষের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ০৮:৩৫
Share:

রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ফাইল চিত্র

অন্য রাজনৈতিক দলগুলির মতো দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসেরও পাখির চোখ পাহাড়। তাই দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি রাহুল গাঁধী এবং কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা বঢরাও দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রচারে এলে তাঁদের পাহাড়েও প্রচারে নিয়ে যেতে চান এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী শঙ্কর মালাকার। দিল্লি থেকে ফিরে মঙ্গলবার শঙ্কর এ কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

তাঁর কথায়, ‘‘রাহুলজি এবং প্রিয়ঙ্কাজি আমার হয়ে প্রচারে আসার সম্মতি দিয়েছেন। দিন ঠিক হয়নি তবে পাহাড়েও তাঁদের প্রচারে নিয়ে যাব।’’ শঙ্করবাবুর দাবি, বিজেপি, সিপিএম, তৃণমূল কেউই পাহাড়ের মানুষের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি। বরং দীর্ঘ দিন থেকেই কংগ্রেসের সরকার কেন্দ্রে থাকাকালীন তাঁরা পাহাড়ে নেপালি ভাষার স্বীকৃতি থেকে শুরু করে, দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল তৈরি করা এবং সব শেষে মনমোহন সিংহের আমলেই জিটিএ তৈরি করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই অন্য দলগুলির চেয়ে কংগ্রেসকেই পাহাড়ের মানুষ চাইছেন বলে দাবি তাঁর। কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর মঙ্গলবারই দিল্লি থেকে ফিরেছেন তিনি। তবে তার আগেই তাঁর পোস্টার দিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন দলে শঙ্করের অনুগামীরা।

শঙ্করবাবু জানান, বুধবার থেকেই পুরো মাত্রায় দেওয়াল লিখন, প্রচার শুরু করবেন। ভোট চাইতে তিনি সকলের কাছেই যাবেন। জিএনএলএফ নেতা মন ঘিসিংয়ের সঙ্গে তাঁর দু’বার বৈঠক হয়েছে বলেও দাবি করেন শঙ্কর। দার্জিলিংয়ের লোকসভা আসনে প্রার্থী ঠিক করতে এখন ভূমিপুত্র বিতর্কে তুঙ্গে সিপিএম, তৃণমূল সকলেই পাহাড়ের প্রার্থীর উপর ভরসা করছেন। এ প্রসঙ্গে অবশ্য পরপর দু’বার বিজেপির দুই প্রার্থী যশোবন্ত সিংহ এবং সুরেন্দ্র সিংহ অহলুয়ালিয়াদের নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘রাজস্থান এবং পঞ্জাব থেকে প্রার্থীরা যদি এই আসন জিততে পারেন, আমি তো এই জেলার লোক।’’

Advertisement

তাঁর দাবি, লড়াইটা পাহাড় বা সমতলের নয়, বরং মোদী না রাহুল গাঁধী দেশের ভার কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই এই লড়াই। তবে পাহাড়ে সেই প্রচার যে একটু বদলাবে, সেই ইঙ্গিতও এ দিন দিয়েছেন তিনি।

বামেদের সঙ্গে জোট ভেস্তে যাওয়ার দোষ এদিন শঙ্করবাবু সিপিএম নেতাদের উপরই চাপিয়েছেন। তাঁর দাবি, বামেরা এমনভাবে সিট সমঝোতা চাইছিল, যাতে উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই থাকত না। তাই সম্মান নষ্ট করে আসন সমঝোতায় আপত্তি জানিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী।

তবে বামেরা জানিয়েছেন, কংগ্রেসকে বরং অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। তবু তারা দেরি করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement