উত্তরে বৃষ্টি, দক্ষিণে রোদ, রোদে-জলে ভোট প্রচার

বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছে কোচবিহারের প্রচারও। এ দিন সকালে শহরে পৌঁছন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৭
Share:

তালে-তালে: প্রচারে আদিবাসী নৃত্যে পা মেলালেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। রবিবার বারাবনিতে। ছবি: পাপন চৌধুরী

প্রথম দফার ভোট আগামী ১১ এপ্রিল। হাতে পুরো দু’সপ্তাহও নেই। তবু রবিবাসরীয় প্রচার জমল না আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। খলনায়ক বৃষ্টি।

Advertisement

রবিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে উত্তরবঙ্গে শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। ফলে প্রার্থীরাও রোড শোয়ের পরিকল্পনায় জল ঢালতে বাধ্য হন। বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানে নিজের বাড়িতেই দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী দশরথ তিরকে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের পার্টি অফিসে। আরএসপি পার্টি অফিসে আটকে থাকেন বাম প্রার্থী মিলি ওরাওঁ।

বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়েছে কোচবিহারের প্রচারও। এ দিন সকালে শহরে পৌঁছন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সকাল ১১ টায় তাঁর সভা ছিল রাজারহাট-টাকাগাছে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য মাঠ ভরেনি। ঘণ্টাখানেক পরে সভার ব্যবস্থা করেন দলীয় কর্মীরা।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ অবশ্য এ দিন বুথে বুথে ঘুরে কর্মিসভা করেন। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার কুশমণ্ডিতে প্রচারের হাতিয়ার করেন ‘ছাপ্পা ভোট’এর অভিযোগ।

অন্য দিকে, রায়গঞ্জের বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম রবিবাসরীয় প্রচার নিয়ে পৌঁছে যান হাটেবাজারে। আর এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী সকাল ১০ টা থেকে সন্ধে ৮টা পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান কেন্দ্রের ২৫টি গ্রামে। তাঁর প্রচারের ফ্রেম ছিল জনগণের সঙ্গে নিজস্বী।

উত্তরে যখন বৃষ্টি, দক্ষিণে তখন কাঠফাটা রোদ। রোদ-ঘামে ভিজে এ দিন সকাল সকাল প্রচারে বেরিয়ে পড়েছিলেন কলকাতা উত্তরের সিপিএম প্রার্থী কনীনিকা ঘোষ। কাশিপুরের অলি-গলিতে তাঁর লক্ষ্য ছিল মহিলা ভোটার। স্লোগানে ছিল মহিলাদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিংহও এ দিন সকালে ঘুরে বেড়িয়েছেন কাশিপুর অঞ্চলে। আর বিকেলে মিছিল করেছেন পোস্তায় উড়ালপুল ভেঙে পড়ার ঘটনা মনে রেখে। উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে এ দিন সকালে ও বিকেলে কর্মিসভা হয় বি কে পাল অ্যাভেনিউ এবং এন্টালিতে।

আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন রবিবাসরীয় প্রচারে বেছে নিয়েছিলেন আদিবাসী নৃত্য। মাদলের তালে তালে পা মেলান নিজেও। আর বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় প্রচারের কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন নিজস্বী।

বহরমপুরে একদা গুরু-শিষ্য অধুনা যুযুধান দুই প্রার্থী অধীর চৌধুরী এবং অপূর্ব সরকার (ডেভিড) দু’জনেই কার্যত ছিলেন গৃহবন্দি। দুপুর পর্যন্ত অধীরবাবু ছিলেন দলীয় কার্যালয়ে। ডেভিডের রোড শোয়ের কথা থাকলেও, প্রশাসনের আগাম অনুমতি না নেওয়ায় তা ভেস্তে যায়।

তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব এ দিন ঘাটাল লোকসভার সবং এবং ডেবরায় কর্মিসভা করেন। তমলুকে বাম প্রার্থী ইব্রাহিম আলির সমর্থনে প্রচার করেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। আর মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এ দিন দলীয় পতাকা ছাড়াই জনসংযোগে নেমে পড়েন শহরের রাস্তাঘাটে।

বিকেলে বিজেপির এখনও পর্যন্ত ঘোষিত ৪০ জন প্রার্থী যোগ দেন প্রধানমন্ত্রীর ‘ম্যায় ভি চৌকিদার’ কর্মসূচিতে। দমদমে দলের প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, শুধু মোদী নন, তাঁরা সকলেই দেশের চৌকিদার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement