ভোটের কাজে নয় সিভিক ভলান্টিয়ার

পঞ্চায়েত ভোটের সময় নির্বাচনের কাজে লাগানো হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও। কিন্তু লোকসভা ভোটের সঙ্গে তাঁদের কোনও সংস্রব থাকবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঞ্চায়েত ভোটের সময় নির্বাচনের কাজে লাগানো হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও। কিন্তু লোকসভা ভোটের সঙ্গে তাঁদের কোনও সংস্রব থাকবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

রাজ্যে এখন প্রায় এক লক্ষ সাতাশ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন। তাঁরা থানার দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে ট্রাফিক— সবই সামলাচ্ছেন। কমিশনের এক কর্তার বক্তব্য, সিভিক ভলান্টিয়াররা থানার কাজে থাকলেন বা ট্রাফিক সামলালেন, তা নিয়ে কমিশনের কোনও মাথাব্যথা নেই। কিন্তু ভোটের কোনও কাজে তাঁদের ব্যবহার করা যাবে না। এই নির্দেশের অন্যথা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কমিশনের ওই কর্তা।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হাওড়ায় আধাসামরিক টহলদার বাহিনীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তার জেরে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছিল কমিশন। এ বারও যদি কোথাও সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের কাজে লাগানো হয়, তবে ওই ধরনের পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পঞ্চায়েত ভোটে সেক্টর অফিসার, টহলদারি ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা হয়েছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, সিভিক ভলান্টিয়ারেরা কার্যত রাজনৈতিক যোগাযোগের কারণেই চাকরি পেয়েছেন। তাঁদের নির্দিষ্ট কোনও নিয়োগ পদ্ধতি নেই। ফলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তা ছাড়া, পুলিশ বা হোমগার্ডের মতো প্রশিক্ষণও তাঁদের নেই। এই পরিস্থিতিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের কাজে লাগানো হলে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement