ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী বিধি মেনে সরকারি প্রকল্প চলবে কি চলবে না, তা ঠিক করার ভার এ বার মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটির উপরেই ছেড়ে দিল নির্বাচন কমিশন। সেই কমিটিই নির্বাচনী বিধিভঙ্গ সংক্রান্ত সরকারি পদক্ষেপের ব্যাপার সিদ্ধান্ত নেবে। ওই কমিটি যদি সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তখন তা আসবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। কমিশন সে বিষয়ে তাদের মতামত জানাবে বলে কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন।
২০১৬-এর বিধানসভা ভোটেও একই পন্থা নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তা সফলও হয়েছিল।
কেন মুখ্যসচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে? কমিশনের এক কর্তা জানান, ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেই বহু রুটিন বা ব্যতিক্রমী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমতি চেয়ে বিভিন্ন দফতর গুচ্ছ গুচ্ছ চিঠি দিতে শুরু করে। কোন কাজ করা যাবে, আর কোন কাজ করা যাবে না, তা ঠিক করতে কমিশনকে বিশেষ নজর দিতে হয়। অথচ নির্বাচনী বিধিভঙ্গ সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা কমিশন তৈরি করেছে, তা থেকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। সেই কারণেই মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটির উপর ভোটে সময় উন্নয়ন প্রকল্প বাছাইয়ের ভার দিয়ে দিয়েছে কমিশন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কমিশন অবশ্য এ-ও জানিয়েছে, যদি কোনও কারণে দেখা যায় যে কমিটি এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিল যাতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়, তা হলে তার পুরো দায়িত্ব মুখ্যসচিবকেই নিতে হবে।
নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা অবশ্য জানাচ্ছেন, বিভিন্ন দফতর থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি আসছে। কমিশনের নির্দেশিকা দেখে তা বলে দেওয়া হচ্ছে। দু’একটা ক্ষেত্রে কমিশনের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।