প্রতীকী ছবি।
ভোটের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ভোট দিতে পারলেন না সরকারি কর্মচারীদের অনেকেই। তা নিয়ে কর্মচারী মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত দফায় হাওড়ার ভোটে এই সমস্যা বেশি করে দেখা দিয়েছে। কয়েকশো কর্মচারী ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য প্রশাসনও সমস্যার কথা স্বীকার করেছে।
ভোটের কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মীরা সাধারণত দু’ভাবে ভোট দিতে পারেন। এক, যাঁরা ভোট করানোর কাজে নিযুক্ত, তাঁরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারেন। দুই, ভোটের অন্যান্য কাজে যাঁরা নিযুক্ত, তাঁরা ‘ইলেকশন ডিউটি সার্টিফিকেট’ (ইডিসি)-এর মাধ্যমে ভোট দিতে পারেন।
কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা, দ্বিতীয় অংশে থাকা কর্মচারীদের সাধারণ ভাবে নিজের নিজের লোকসভার কেন্দ্রেই ভোটের কাজ দেওয়া হয়। তাঁরা ইডিসি দেখিয়ে ওই কেন্দ্রের যে কোনও বুথে ভোটা দিতে পারেন। পঞ্চম দফার নির্বাচনে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে অভিযোগ উঠেছে, অনেকে আবেদন করার পরেও ইডিসি হাতে পাননি। তাই ভোট দিতে পারেননি। এই সমস্যার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকেই দায়ী করছেন ওই কর্মচারীরা। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘কেন জানা নেই, তবে নিয়ম মেনে ইডিসি-এর জন্য আবেদন করার পরেও জেলা প্রশাসন তা পাঠায়নি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের পার্ট এবং সিরিয়াল নম্বর জানিয়ে ইডিসি-র জন্য আবেদন করতে হয়। বাড়ি না কি অফিস, কোন ঠিকানায় ইডিসি গ্রহণ করবেন, তা-ও নির্দিষ্ট করে জানাতে হয়। এর মধ্যে কোনও একটি তথ্য ভুল হলে ইডিসি হাতে পাওয়া যায় না। তেমন কিছু ঘটেছে বলেই অভিযোগকারীরা ইডিসি পাননি বলে মনে করছেন প্রশাসনের অনেকে। এক কর্তার কথায়, ‘‘এই সমস্যাটা নজরে এসেছে। তবে দুর্ভাগ্যজনক, এ বারের মতো তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না।’’
অন্য দিকে, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, অনেক কর্মচারী সময় মতো পোস্টাল ব্যালট না পাওয়ায় ভোট দিতে পারেননি। সার্বিক ভাবে না হলেও কয়েকটি এলাকায় এই সমস্যা হয়েছে। কমিশন যাতে এই দিকে নজর দেয়, তার দাবি জানিয়েছে সংগঠন।