প্রধানমন্ত্রীর প্রচারসূচির সঙ্গে সঙ্গত রেখেই কি নির্বাচনী নির্ঘন্ট তৈরি হয়েছে? মঙ্গলবার এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রায় দু’মাস ধরে যে লোকসভা নির্বাচন চলবে তাতে অসন্তোষ বুঝিয়েই তিনি এ দিন বলেছেন, ‘‘মনে রাখতে হবে, নির্বাচন কমিশন বিজেপির নয়। নির্বাচন কমিশন সকলের। আমাদের কথাও শুনতে হবে।’’
রমজানের সময় নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সূচি ঘোষণার দিনই আপত্তি তুলেছিল তৃণমূল। এ দিন রমজানের কথা উল্লেখ না করলেও প্রায় আড়াই মাসের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আপত্তি করেছেন মমতা।
সেই সূত্রেই তৃণমূল নেত্রী এ দিন বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সব জায়গায় যাতে প্রচার সেরে নিজের নির্বাচন করতে পারেন, সেই মতো ভোটের দিন ঠিক হয়েছে।’’ এই দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচনের ফলে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ থাকা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এত দিন ধরে নির্বাচন! সরকারের সব কাজ বন্ধ থাকবে। কৃষকবন্ধু প্রকল্প বন্ধ থাকবে।’’
কমিশনের নিরপেক্ষতা দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন নির্বাচনে খরচের উপরেও নজরদারির কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রাইভেট প্লেন, কপ্টারে, জলপথে যেন টাকা না ঢোকে দেখতে হবে। বিভিন্ন রকম এজেন্সিকে ব্যবহার করে কেউ যেন টাকা ছড়াতে না পারে।’’ কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘এখনও বিজেপি নেতাদের ছবি সেনা জওয়ানদের ছবির সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রচারের ব্যবস্থা
করেছে বিজেপি।’’ ইঙ্গিত করেই মমতা এ দিন বলেছেন, ‘‘যাদের হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, তাদের কথা ভাবলে হবে না। ছোট দলের আর্থিক সামর্থ্যের কথা ভাবতে হবে। সেই জন্যেই আমরা নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার চাই।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন দেশপ্রেম ও ধর্মকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ করেন মমতা। সেই সূত্রেই তিনি বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবেই।’’ মমতা জানান এই লক্ষ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে যাবেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘অখিলেশ যাদব, মায়াবতীরা চাইলে প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারাণসীতেও প্রচারে যাব।’’