হাওড়ার শিবপুরে মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ( তৃণমূলের) জেলা সভাপতির যা যোগ্যতা তা নরেন্দ্র মোদীর নেই।’’ সেই সঙ্গেই তৃণমূলনেত্রীর মন্তব্য, তাঁর দলের ব্লক সভাপতির যে যোগ্যতা, তা-ও নেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বিজেপির এই নেতারা কোনওদিন রাজনীতি করেছে?’’
বিজেপি সরকারের পতন নিশ্চিত বলে আরও একবার দাবি করলেন মমতা। এদিন হাওড়ার আন্দুলে এক নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতি থেকে বিজেপি সরকারের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।’’ তারপর রাজ্য ধরে হিসাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘‘বাংলায় দুটো ছিল। এবার গোল্লা পাবে।’’ বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার উল্লেখ করে তিনি বিজেপির দুই প্রধান মুখ মোদী ও শাহের প্রশাসনিক যোগ্যতার কথা বলেন। তৃণমূলনেত্রীর কথায়, ‘‘ভোটের আগে আবার অযোধ্যায় গিয়ে রামমন্দির তৈরির কথা বলছেন। পাঁচ বছরে হাতের আঙুলের মাপের একটা মন্দিরও বানাতে পারেননি। অপদার্থগুলো কিছু করতে পারে না।’’ তারপরই মমতার মন্তব্য, ‘‘ফেল করবে। পুরো ফেল করবে।’’
রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে একাধিকবার ‘টিএমসি ট্যাক্স’-এর অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিনও রাজ্যে প্রচারে এসে শাহ বলেন, ‘‘এখানে সব কিছুতেই টিএমসি-কে ট্যাক্স দিতে হয়।’’ তার জবাব দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘আমরা কোনও ট্যাক্স বসিয়েছি? ডিজেলের দাম আমি বাড়িয়েছি? গ্যাসের দাম ৪০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। আমরা কোনও দাম বাড়াইনি। আমরা বিনাপয়সায় মানুষকে চিকিৎসা দিই। শিক্ষাশ্রী দিই। সবুজসাথী দিই।’’ তারপরই মমতা বলেন, ‘‘মুখে শুধু ঝুরঝুরে ফুরফুরে মিথ্যা কথা। এঁদের হচ্ছে তোতাপাখির ভোঁতা বুলি। লজ্জা নেই। প্রধানমন্ত্রী শুধু মিথ্যা বলেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক প্রচারের অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটা চোর, ডাকাত, চম্বলের ডাকাতকে ধরে এনে বলছে দাঙ্গা কর।’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘একজন হিন্দু বিপদে পড়লে আমার যা লাগবে, মুসলমানের বিপদ হলেওআমার তেমনই লাগবে। আমি সবার জন্য। আমি যতক্ষণ চেয়ারে আছি, আমি সবার জন্য।’’