মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
ফের নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার আমডাঙায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানে বিজেপি এবং মোদীর বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন তিনি।
অচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও গত পাঁচ বছরে নরেন্দ্র মোদী শুধু বিদেশ ঘুরে বেরিয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘অচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন চাওয়ালা। পাঁচ বছর ধরে বিদেশ ঘুরে এখন চৌকিদার হয়েছেন।’’
বাংলার মানুষ বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিকে সমর্থন করবেন না বলেও এদিন জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘বাংলা ভাল আছে, তাই হিংসায় মরে যাচ্ছিল। এখন এ দিকে নজর পড়েছে ওদের। তাই বাংলায় এসে উস্কানি দিচ্ছেন মোদী। এনআরসি করবেন বলছেন। করে দেখান উনি।’’
আরও পড়ুন: রাজীবের গ্রেফতারির আবেদন, সিবিআইয়ের কাছে তথ্য লোপাটের প্রমাণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট
বিজেপিকে হারিয়ে ফের আসব আপনাদের কাছে, জয়ের উত্সব পালন করে যাব। বংলায় আমাদের এবার ৪২-এ ৪২ চাই। কেন্দ্রে সরকার গড়তে পারবে না বিজেপি। বিজেপির হিন্দুত্ব চাই না আমরা। বিভাজনের রাজনীতি করছেন। বাংলায় এসে উস্কানি দিচ্ছেন মোদী। বাংলায় সব ধর্মের মানুষ আছেন, দুষ্টুবাবু নেই। বাংলা ভাল আছে তাই হিংসায় মরে যাচ্ছে। এখানে নজর পড়েছে ওদের। পাঁচ বছর ধরে বিদেশ ঘুরে এখন চা-ওয়ালা থেকে চৌকিদার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে জেতানোর গর্বেই ভাসছে বারাণসী, মন্ত্র এখন ‘নমামি নমো’
বাংলার মাটি সহনশীলতার মাটি। এ মাটি ঔদ্ধত্য বরদাস্ত করে না। বাংলায় দু’টো আসন ছিল এত দিন। এ বার শূন্য পাবে বিজেপি। কাঁকর মেটানো মাটির রসগোল্লা খাওয়াব মোদীকে। কামড় দিলেই দাঁত ভেঙে যাবে। মোদীকে প্রধানমন্ত্রী মানতে কুণ্ঠা হয়। বাংলার সংস্কৃতি জানেন না মোদী। বিজেপি দাঙ্গাবাজদের দল। ব্যারাকপুরে বিজেপি-সিপিএম আঁতাত রয়েছে। ভেবেচিন্তে ভোট দিন। নরেন্দ্র মোদীর মতো ফ্যাসিস্ট সারা পৃথিবীতে আর জন্মায়নি। হিটলারের ঠাকুর্দা উনি। অস্ত্র হাতে মিছিল করে ওরা। আরএসএস এখন মোদীর দালালি করে। ধর্মের নামে রাজনীতি করছে বিজেপি। বাংলায় বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করছেন মোদী।
এর আগে ভদ্রেশ্বরের সভা থেকেও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন—
ফের ক্ষমতায় এলে আর কখনও ভারতে নির্বাচন হবে না। উনি সংবিধান মানেন না।গাঁধীজিকে মানেন না। মোদী ফের ক্ষমতায় এলে দেশের স্বাধীনতা চলে যাবে। টাকা দিলে নিয়ে নিন, কিন্তু ভোট দেবেন না বিজেপিকে। জনগণের জন্য টাকা নেই। কিন্তু নিজের ক্যাডারদের মোটরবাইক কিনে দিচ্ছে বিজেপি।