কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে কনীনিকা বসু ঘোষ ও নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
পশ্চিমবঙ্গে ‘জয় শ্রী রাম’ বলার অধিকার আছে কি নেই, এই বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখন মানুষের জীবন-জীবিকার অধিকার নিয়ে উত্তর-দক্ষিণ কলকাতার অলিগলিতে চর্চা করছেন কনীনিকা বসু ঘোষ ও নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। দু’জনেরই মূল বার্তা— তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি নয়, বামপন্থীরাই মানুষের প্রকৃত বন্ধু।
সিপিএমের কলকাতা উত্তরের প্রার্থী কনীনিকা ও কলকাতা দক্ষিণের প্রার্থী নন্দিনী— দু’জনেই প্রচার শুরু করেছেন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়া মাত্র। দু’জনেরই ভোট সাত দফার শেষ পর্বে ১৯ মে। কনীনিকা ও নন্দিনী মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘মানুষের কাছে যাচ্ছি। তাঁরা সমস্যা ভাগ করছেন। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মত দিচ্ছেন। মানুষের সাড়া পাচ্ছি। তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী ভোট কোথায় দিতে হবে, তাঁরা জানেন।’’
‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছর সরকারে থাকার পরেও এ রাজ্যে ‘সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ’ হল কী ভাবে? মালিনী ভট্টাচার্য ও কলকাতার দুই বাম প্রার্থীর জবাব, ‘‘বাম সরকার চলে যাওয়ার পর গত ৮ বছরে রাজ্যে আরএসএসের শাখা বেড়েছে। আমাদের বিকল্প মানুষের ভাল লাগছে।’’ দলের দুর্বল সংগঠন কি লড়াইয়ে বাধা হচ্ছে না? কনীনিকা ও নন্দিনী দু’জনেরই দাবি, ‘‘সংগঠন দুর্বল নয়। প্রতিরোধ করার মতো সংগঠন আছে। আমাদের ভরসা মানুষ।’’