মোদী আজ হেলিকপ্টার না গাড়িতে

আজ, বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ির সভা দিয়েই রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন মোদী। তাঁর সেই সভার আগের দিন ধোঁয়াশা রইল কপ্টার নিয়ে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০২:২৬
Share:

নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আকাশে না সড়কপথে— বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কী ভাবে কাওয়াখালির সভামঞ্চে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তা নিয়ে সভার ২৪ ঘণ্টা আগেও সংশয় থাকল। যদিও হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রীর মতো ‘ভিভিআইপি’রা এলে হেলিপ্যাড-সহ বাকি যা প্রস্তুতি নিতে হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা অবধি তা নেওয়া হয়নি বলে সভাস্থলের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর সফরের খুঁটিনাটি শেষ মুহূর্তে বদলাতে পারে বলে জানাচ্ছেন নিরাপত্তা অফিসারেরা।

Advertisement

আজ, বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ির সভা দিয়েই রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন মোদী। তাঁর সেই সভার আগের দিন ধোঁয়াশা রইল কপ্টার নিয়ে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা অবশ্য দাবি করেছেন, বাগডোগরা বিমানবন্দরের বায়ুসেনার আলফা জ়োন থেকে সভাস্থলের পাশের সিআরপি‌এফের নিজস্ব হেলিপ্যাডে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার তার নথিপত্রের কাজ এক দফায় সেরে রাখা হয়েছে।

আবার স্থানীয় বিজেপি নেতাদের একাংশ দাবি করেছেন, বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে আসার কোনও চূড়ান্ত খবর নেই। তাই বাগডোগরা থেকে কাওয়াখালির রাস্তার দু’পাশে পুলিশের নির্দেশে প্রোটোকল মেনে জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড-সহ ঘেরাটোপের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্য এবং জেলার নেতাদের একটা বড় অংশ চাইছেন বাগডোগরা থেকে এশিয়ান হাইওয়ে, একাধিক উড়ালপুল এবং লোকালয় দিয়েই প্রধানমন্ত্রী সভায় আসুন। দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘সড়কপথ বা আকাশপথ বড় বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী কাওয়াখালিতে ঐতিহাসিক সভা করবেন, এটাই বড় বিষয়।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তবে বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টার হোক বা সড়কপথ, কাওয়াখালির সভার প্রস্তুতি এ দিন রাত অবধি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলেছে। গত দু’দিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি মাঠের দায়িত্ব নিয়েছে। এ দিন দুপুর থেকে দফায় দফায় রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি আনন্দ কুমার, পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনা-সহ একাধিক ডিসি, এসিপি’রা রাত অবধি মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দে‌খেছেন। বিকেলের পর থেকে গোটা মাঠের গর্ত খুঁড়ে বসানো খুঁটি-সহ মাঠের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন নানা যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। আনা হয় কমিশনারেটের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড এবং প্রশিক্ষিত পুলিশ কুকুরদেরও।

সন্ধ্যার আগেই গোটা মাঠে ১৫০ বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে তার ফুটেজ পরীক্ষা শুরু করা হয়। মূল মঞ্চের চারপাশ ১৫০ মিটার দূর থেকে গোটা এলাকায় টিনের উঁচু দেওয়াল তৈরি করে ‘ভিউ কাটার’ হিসেবে ঘেরা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement