রাণাঘাট সংরক্ষিত কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চিকিৎসক মুকুটমণি অধিকারীর ইস্তফাপত্র গৃহীত হল না। স্বাস্থ্য দফতরের কমিশনার নদিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে গত ২ এপ্রিল এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন। কমিশনার লিখেছেন, সরকারি চিকিৎসক, চিকিৎসক-শিক্ষক এবং জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের চাকরির পরিষেবা বিধি ২০১৬ সালে বদল করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই তিনটি ক্যাডারে যোগ দিলে নিদেনপক্ষে পাঁচ বছর চাকরি করতেই হবে। পাঁচ বছরের আগে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া যাবে না।
সেই শর্ত মেনেই দেখা যাচ্ছে মুকুটমণি বাদকুল্লা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জেনারেল ডিউ়টি মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে এখনও পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণ করেননি। ফলে তাঁর ইস্তফা সরকারি নিয়ম মেনে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। সে কথা মুকুটমণিকে জানিয়েও দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।
সরকারি নির্দেশের কথা জেনে মুকুটমণি বলেন,‘‘ছোট্ট সমস্যা হয়েছে। রাজ্য নেতারা দেখছেন।’’ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘‘ সমস্যা হয়েছে। তবে মুকুটমণিই আমাদের প্রার্থী থাকবেন। যা যা করার করা হচ্ছে।’’ বিজেপি সূত্রের খবর, আদালতে গিয়ে সরকারি নির্দেশ খারিজের আবেদন করা হতে পারে। ভোটে লড়ার জন্য আদালত যাতে বিশেষ অনুমতি দেয়, সেই আর্জি জানাবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই আদালতের দরজায় গিয়েছেন বীরভূম কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী রেজাউল করিম। সরকারি চিকিৎসক-শিক্ষক রেজাউলবাবুর ইস্তফাও গ্রহণ করেনি সরকার। স্বাস্থ্য ভবনে বিবেচনাধীন রয়েছে, জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়েরও ইস্তফাপত্র। তা হলে কি সরকারের শীর্ষমহল থেকে বিরোধী প্রার্থীদের ইস্তফাগ্রহণে কলকাঠি নাড়া হচ্ছে? এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন,‘‘ঠিক তার উল্টো নির্দেশ রয়েছে। বলা হয়েছে, আইনে না আটকালে ভোটে লড়তে ইচ্ছুক চিকিৎসকদের ইস্তফা তৎক্ষণাৎ গ্রহণ করতে হবে।’’