প্রথম ও দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে বেশ কিছু জায়গায় অশান্তি হয়েছে। তৃতীয় দফার আগে অশান্তির মোকাবিলা করতে পক্ষপাতিত্বে অভিযুক্ত সাত পুলিশ অফিসারকে বদলির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।
তৃতীয় দফার ভোটের ঠিক আগের দিন সাত পুলিশ অফিসারকে বদলির নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক বাংলার বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে শনিবারই পুরনো বিহারের তুলনা টেনেছিলেন। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই বদলি।
আগামী কাল মঙ্গলবার রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। যে আসনগুলিতে নির্বাচন হবে, তার মধ্যে মুর্শিদাবাদ রয়েছে। সোমবার নির্বাচন কমিশন বদলির যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে মুর্শিদাবাদেরই তিন পুলিশ অফিসারের নাম রয়েছে। কমিশনের বদলির তালিকায় রয়েছে রঘুনাথগঞ্জের আইসি সৈকত রায়, ফরাক্কার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ, সামশেরগঞ্জের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর বিধান হালদার, পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি থানার অজয় মণ্ডল, অন্ডালের রাজশেখর মুখোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনার বিজপুর থানায় কর্মরত কৃষ্ণেন্দু ঘোষ এবং বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুমনকান্তি দাসের নাম। বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস— প্রত্যেকেই একযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে।
রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে ৯২ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা শনিবারেই জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন হিংসা এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তারা যে প্রস্তুত, আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছিল কমিশন। ভোটের আগের দিন সাত পুলিশ অফিসারকে বদলি করে কমিশন সেই বার্তাকে আরও জোরদার করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে বাংলার পুলিশ, বললেন অমিত শাহ
পুলিশ অফিসারদের বদলি নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ করেছিলাম। অনেক পুলিশ অফিসারেরই নাম দিয়েছিলাম তাতে। আমাদের দেওয়া তালিকার মধ্যে দু’জনকে সরানো হয়েছে, তার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ। তৃণমূলকে নিজেদের শিরদাঁড়া বেছে দেওয়া সমস্ত পুলিশ অফিসারকে সরে যেতে হবে। মানুষ এবং গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁদের দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।’’