সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়তি গুরুত্ব বামের

ভোট-বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, এ বারের নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারে সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গ্রাম-শহর নির্বিশেষে।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় 

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৩৮
Share:

প্রচার: ছড়ানো হচ্ছে এমনই বার্তা। —নিজস্ব চিত্র।

কেউ ফেসবুকে ‘পেজ’ খুলেছেন। কারও হাতিয়ার ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ’। কারও বা দু’টোই।

Advertisement

হুগলিতে ভোট প্রচারের মাধ্যম হিসেবে এ বার সোশ্যাল মিডিয়াকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বামেরা। জেলা সিপিএম নেতৃত্ব, প্রার্থীরা, এমনকি দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনও সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়েছে। আরামবাগের মতো ‘উপদ্রুত’ এলাকায় শাসকদল প্রচারে বাধা দিলেও এখন চিন্তার কিছু নেই বলে মনে করছেন সিপিএম নেতারা। কারণ, ফেসবুকের দেওয়াল আছে।

ভোট-বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, এ বারের নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারে সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গ্রাম-শহর নির্বিশেষে। অবশ্য ‘ফেক নিউজ’-এ ভোটারদের বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও তাঁরা উড়িয়ে দেননি। সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতার কথা মেনেই সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা প্রচার করেছি। কিন্তু সেটা এতটা সংগঠিত ভাবে হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই এর ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এখন সোশ্যাল মিডিয়া খুবই জনপ্রিয়। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার হলে ক্ষতি কী? এটা সময়ের দাবি। আমাদের শাখা সংগঠনের ছেলেমেয়েরা এই কাজ করলে সেটা অন্যদের থেকে অনেক বুদ্ধিদীপ্ত হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

যত দিন গড়াচ্ছে, স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভোটের প্রচার একটা সার্বিক রূপ পাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে। কোথাও প্রার্থীরা ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হচ্ছেন, আবার কোথাও তা দলের তরফে হচ্ছে। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বার রাজ্যে বামপ্রার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়াকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেই কাজ সংগঠনগত ভাবে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দলগত ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ছাড়াও শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায়ের তরফেও একটি ‘ফেসবুক পেজ’ খোলা হয়েছে। তাঁর নামে ‘হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ’ও আছে। হুগলির সিপিএম প্রার্থী প্রদীপ সাহার তরফেও ‘ফেসবুক পেজ’ খোলা হয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রচার এবং নিজেদের নীতি-আদর্শের কথা তুলে ধরা ছাড়াও বামেরা রাজ্য সরকারের নানা সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে চলেছে। যেমন, আয় বাড়াতে রাজ্য সরকারের মদের ঢালাও লাইসেন্স দেওয়ার নীতি, রাজ্যে শিক্ষত বেকারদের চাকরি না-থাকা ইত্যাদি। জেলা সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, অল্প কয়েক দিনের প্রচারেই এই মাধ্যম সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, ভুক্তভোগী মানুষজনের মনের কথাই বলা হচ্ছে। যা তাঁরা এতদিন কোনও ভাবে প্রকাশ করতে পারছিলেন না। জেলা এসএফআই নেত্রী নিবেদিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ার নানা বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি আমাদের দলীয় প্রার্থীদের প্রচারের প্রতিদিনের খবরাখবরও এর মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছি মানুষের কাছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement