কংগ্রেসের হয়ে সিপিএমের দেওয়াল লিখন। শমসেরগঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
জোট ভেস্তে গেলেও কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে নেমে পড়ল সিপিএম। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার ফরাক্কা ও শমসেরগঞ্জ বিধানসভা দক্ষিণ মালদহ লোকসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। ওই কেন্দ্রে সিপিএম শেষ পর্যন্ত তাদের প্রার্থী দেয়নি। তার ফলেই নিজস্ব ভোটারদের তৃণমূল ও বিজেপির দিকে চলে যাওয়া রুখতেই শনিবার থেকে তারা কংগ্রেসের হয়ে কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছেন।
২০১৪ সালের লোকসভায় দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম ও কংগ্রেস। ফরাক্কা থেকে কংগ্রেস ভোট পায় ৫৭৪৬১, সিপিএম পায় ৪৫৮০৩ । শমসেরগঞ্জ বিধানসভা থেকে কংগ্রেস পায় ৫১০৩৭ ভোট, সিপিএম পায় ৪৫৪১৬ ভোট।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয় সিপিএমের। ফরাক্কায় তারা পায় ৮২৭৪৪ ভোট, শমসেরগঞ্জে জোট প্রার্থী হলেও সিপিএম পায় ৪৬৬০১ ভোট। সে বার কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিকে রাতারাতি তৃণমূল প্রার্থী করায় কংগ্রেসের ভোটের সবটায় চলে যায় সেদিকে।
সিপিএম অবশ্য মনে করে দুই বিধানসভা এলাকাতেই তাদের ভোট ব্যাঙ্ক অনেকটাই অক্ষত রয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ফরাক্কার আবুল হাসনাত খান বলছেন, “এলাকার মধ্যে পড়লেও কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী বাস্তবে কোনও নজর দেননি মুর্শিদাবাদের এই দুই এলাকার উন্নয়নে। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে সিপিএমের কর্মী, সমর্থকদেরও। কিন্তু যেহেতু আমাদের দলের প্রার্থী নেই এবং তৃণমূল ও বিজেপিকে হারাতে হবে তাই দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত এটাই। সেই কারণেই আমরা নিরুপায় হয়েই কংগ্রেসকে এই দুই বিধানসভা থেকে সমর্থন করছি। হাত চিহ্নে ভোট দেওয়ার জন্য কর্মীরা অনেক জায়গায় দেওয়াল লিখেছে। প্রচারও চলছে। ”
শমসেরগঞ্জের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তোয়াব আলি বলেন, “দুই কেন্দ্রেই আমাদের ভাল ভোট রয়েছে। সেই ভোট কংগ্রেসকে দিতে বলা হয়েছে। তবে কংগ্রেসকে ভোট দিলেও কোনও অবস্থাতেই কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ প্রচারে সিপিএম যাবে না।”
শমসেরগঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হাবিবুর রহমানও কবুল করছেন, “যৌথ ভাবে না হলেও সিপিএম কংগ্রেসের হয়েই প্রচারে নেমেছে। এটা অস্বীকার করার নয় যে, এলাকায় সিপিএমের নিজস্ব ভাল ভোট রয়েছে। সেটা কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরীর দিকেই যাবে। তবে জঙ্গিপুর-সহ সর্বত্র জোট হলে শাসক দলকে হারানো সহজ হত।”