জোটের পথে ইতি, বলছে না কোনও পক্ষই

জোট ভাঙলেও কোনও পক্ষই তার ‘দায়’ নিজেদের কাঁধে নিতে চায় না বলে টানাপড়েন জারি আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ০৩:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

সোমবার রাতে কংগ্রেস বাংলার ১১টি আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেওয়ার পরে রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল বলেই মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ। যদিও অন্য একটি অংশের মত হল, জোট না হওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিলমোহর এখনও দেয়নি এআইসিসি। বরং, রাজ্যে রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সঙ্গে জোট করতে কংগ্রেসের কী সমস্যা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন রাহুল গাঁধী। বস্তুত, জোট ভাঙলেও কোনও পক্ষই তার ‘দায়’ নিজেদের কাঁধে নিতে চায় না বলে টানাপড়েন জারি আছে।

Advertisement

প্রার্থী তালিকা এ দিন সকালে অনুমোদন হয়ে যাওয়ার পরেও সোমেন মিত্রকে দিল্লিতে থেকে যেতে বলেন হাইকমান্ড। সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে রাহুল গাঁধীর কথাবার্তাও বন্ধ হয়নি। বিশেষ করে আপের সঙ্গে কংগ্রেসের টানাপড়েনের অভিজ্ঞতা মনে রেখে শেষ কথা বলা এখনই উচিত হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই। আলিমুদ্দিনে এ দিন বামফ্রন্টের বৈঠকে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরে বাকি ১৭ আসনে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করার আগে আরও অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বামফ্রন্টের ফের বৈঠক হবে আজ, মঙ্গলবার। ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু মন্তব্য করেছেন, ‘‘একটা কঠিন সময় চলছে রাজ্যে ও দেশে। মানুষের স্বার্থে যৌথ আন্দোলনের পাশাপাশি বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ভোট এক জায়গায় আনা দরকার বলে আমরা মনে করি।’’ আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেনবাবুর বক্তব্য, ‘‘সম্মানজনক শর্তে জোট চেয়েছিলাম। কিন্তু দলের মর্যাদা খুইয়ে কোনও জোটে প্রদেশ কংগ্রেস যে যেতে চায় না, আমাদের নির্বাচন কমিটির সেই আলোচনার সিদ্ধান্ত এআইসিসি-কে জানিয়েছি।’’

সিপিএম ও কংগ্রেস সূত্রের খবর, দু’দলের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে আলোচনার জেরেই জোট-প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি এখনও ঘোষণা হয়নি। কংগ্রেস সভাপতিকে সবিস্তার পরিসংখ্যান দিয়ে সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কংগ্রেসের ‘অযৌক্তিক’ দাবি তারা মানতে পারবে না। তাতে আলাদা লড়াই হলে হোক। রাহুল অবশ্য দিনভর দিল্লিতে ছিলেন না। তিনি দিল্লি ফিরে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত বিমানবাবুদের বাকি প্রার্থী ঘোষণা না করার পরামর্শ দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘এআইসিসি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিক, তারা বোঝাপড়া চায় না। আমরা বাকি প্রার্থীদের নাম জানিয়ে দেব।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement