Lok Sabha Election 2019

নতুন লোগোয় মুছে গেল কংগ্রেস, ম্লান হয়ে গেল গেরুয়া, পরিস্থিতি মেপে নতুন পথে তৃণমূল

সচেতন ভাবেই যে বদলানো হয়েছে দলের লোগো, সে বিষয়ে তৃণমূলের প্রায় সব স্তরই কিন্তু ওয়াকিবহাল।

Advertisement

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৯ ১৮:৩১
Share:

তৃণমূলের নতুন লোগো।—দলের টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।

দেওয়াল লিখন, পোস্টার, ফ্লেক্স, ব্যানারে আস্তে আস্তে ভরে উঠছে মহল্লা, রাস্তাঘাট, বাজার। সর্বাগ্রে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারার সুবাদে সে লড়াইয়ে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে এগিয়ে তৃণমূল। আর তৃণমূলের প্রচারে উজ্জ্বল ভাবে লক্ষণীয় এক বড়সড় পরিবর্তন। বদলে গিয়েছে তৃণমূলের লোগো।

Advertisement

তেরঙা দাপট ঘুচিয়ে নীল-সাদা আভা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে জোড়াফুল প্রতীকটাকে ঘিরে। সযত্নে বাড়ানো হয়েছে সবুজ রঙের উপস্থিতি। আর দলের জন্মের একুশ বছরের মাথায় লোগো থেকে খসে গিয়েছে ‘কংগ্রেস’ শব্দটা। মোটা হরফে একটাই শব্দ— তৃণমূল। তার নীচে লেখা হয়েছে ‘আমার, আপনার, বাংলার’।

সচেতন ভাবেই যে বদলানো হয়েছে দলের লোগো, সে বিষয়ে তৃণমূলের প্রায় সব স্তরই কিন্তু ওয়াকিবহাল। ফলে গ্রাম-গ্রামান্তরেও প্রচারে-লিখনে নতুন নকশা ব্যবহার করতে ভুল হচ্ছে না কর্মীদের। ১৯৯৮ সালে দলের আত্মপ্রকাশের সময়ে লোগো তৈরি হয়েছিল যাঁর হাতে, ২১ বছর পরে এই নতুন লোগোর নেপথ্যেও কিন্তু সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়েরই মস্তিষ্ক। সে কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও লোগো, দল প্রতিষ্ঠার পর দিন। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।

আরও পড়ুন: ইয়েদুরাপ্পার ডায়েরিতে ১৮০০ কোটির কেলেঙ্কারি? তদন্ত চাইল কংগ্রেস, অভিযোগ ওড়াল বিজেপি

কী তাৎপর্য এই নতুন লোগোর? তাৎপর্য অনেক, একসঙ্গে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বার্তা চারিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সর্বাগ্রে চোখে পড়ে দলের লোগো থেকে ‘কংগ্রেস’ শব্দটার হারিয়ে যাওয়া। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কংগ্রেসের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার তিনি ছাড়েননি। দলের নামে এবং প্রতিটি শাখা সংগঠনের নামে কংগ্রেসের সদর্প উপস্থিতি ছিল। বাংলায় তৃণমূলটাই আসল কংগ্রেস— জোর গলায় এ কথাও বলা হত। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতেন বার বার। কিন্তু দলের পালে বাতাস ধরে রাখার জন্য কংগ্রেসি রাজনীতির প্রকৃত উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার প্রয়োজন যে আর নেই, সে কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন খুব স্পষ্ট ভাবেই। তাই নির্বাচন কমিশনের খাতায় দলের নাম যা-ই থাক, লোগোয় এখন থেকে শুধুই ‘তৃণমূল’ থাকবে— সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পেরেছেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত পরিষ্কার বুঝিয়ে দিচ্ছে, রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বাধীন আজকের কংগ্রেসের সঙ্গে নিজের দলের পরিচিতি গুলিয়ে যাওয়ার কোনও অবকাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারেই রাখতে চান না। তৃণমূল যে এখন একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজনীতির নাম, তৃণমূল যে এখন একটা স্বতন্ত্র অস্তিত্ব, যে অস্তিত্বের সর্বাধিনায়িকার নাম সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রিত্বের চর্চাতেও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক— সে কথাই বুঝিয়ে দিতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব বরং।

এই স্বতন্ত্রতা বা স্বয়ংসম্পূর্ণতার বার্তা দেওয়ার চেষ্টাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কী চোখে দেখছেন? এই রকম একটা বার্তা দেওয়ার যথেষ্ট কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে বলেই তাঁদের সিংহভাগ মনে করছেন। কংগ্রেস ভেঙে বেরিয়ে কংগ্রেসকে ছাপিয়ে যেতে পেরেছেন— এমন নেতা বা নেত্রী বিরল। নেহরু-গাঁধী পরিবারের উজ্জ্বল উত্তরাধিকারী ইন্দিরা গাঁধী যে সাফল্য পেয়েছিলেন কংগ্রেস ভেঙে, সেই সাফল্যের উদাহরণ অন্য কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনীয় নয় বলেই বিশ্লেষকদের মত। ইন্দিরার কংগ্রেসই মূল কংগ্রেস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যাওয়ার পর থেকে যাঁরা কংগ্রেস ভেঙে নতুন দল গড়েছেন, তাঁরা নিজেদের হালে কতটুকু পানি পেয়েছেন, তা কারও অজানা নয়। এঁদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। শুধু পালে বাতাস টানতে পারা নয়, নিজের রাজ্যে কংগ্রেসকে বহু যোজন পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।

১৯৯৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রায়দিঘির জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।

শরদ পওয়ারের মতো দুঁদে রাজনীতিক কংগ্রেস ভেঙে এনসিপি তৈরি করেছিলেন। পওয়ারের নিজের রাজ্য মহারাষ্ট্রে তাঁর দল সাফল্য পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু এনসিপি কখনও মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের চেয়ে বড় দল হয়ে উঠতে পারেনি। বরং অধিকাংশ সময়টাতেই কংগ্রেসের জোটসঙ্গী হয়ে থেকেছে। জাতীয় রাজনীতিতে তাদের কংগ্রেস ঘনিষ্ঠতা আরও বেশি করে চোখে পড়েছে।

পূর্ণ সাংমা, তারিক আনোয়ারও কংগ্রেস ছেড়েছিলেন পওয়ারের সঙ্গেই। নিজের রাজ্য বিহারে এনসিপির অস্তিত্বকে কোনও দিনই মজবুত করতে পারেননি তারিক। শেষ পর্যন্ত ফিরে গিয়েছেন কংগ্রেসে। আর পূর্ণ সাংমার রাজ্য মেঘালয়ে প্রথমে এনসিপি এবং পরে তাঁর নতুন দল এনপিপি ছাপ ফেলেছে ঠিকই। কিন্তু কংগ্রেসের চেয়েও বেশি শক্তিশালী কখনও হয়ে উঠতে পারেনি।

পওয়ার-সাংমা-আনোয়ারদের অনেকটা আগের যুগে ফিরে যাওয়া যাক। রাজীব জমানায় কংগ্রেস ছাড়তে প্রায় বাধ্য হয়েছিলেন ইন্দিরার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মী প্রণব মুখোপাধ্যায়। ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন প্রণব। কিন্তু কোনও দাগ কাটতে পারেনি সে দল। ১৯৮৯ সালে প্রণব ফিরে যান কংগ্রেসে।

১৯৯৬ সালে তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস ভেঙে তৈরি হয়েছিল তামিল মানিলা কংগ্রেস। নেতৃত্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা জি কে মুপানর। সঙ্গে আর এক হেভিওয়েট কংগ্রেসি পি চিদম্বরম। ডিএমকে-র সঙ্গে জোট গড়ে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে কয়েক বছরের জন্য ছাপ ফেলেছিল সে দল। কিন্তু এক দশকের মধ্যেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে তামিল মানিলা কংগ্রেস। চিদম্বরম ২০০১ সালে ওই দল ছেড়ে তৈরি করেছিলেন ‘কংগ্রেস জননায়কা পেরাভাই’। কিন্তু ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে শিবগঙ্গা আসন থেকে লড়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে। জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন এবং নিজের দলকে মিশিয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেসে।

কংগ্রেস ভেঙে এনসিপি তৈরি করেছিলেন শরদ পওয়ার। —ফাইল চিত্র।

আরও পড়ুন: স্যাম পিত্রোদার ‘পাকিস্তান’ মন্তব্যে অস্বস্তিতে কংগ্রেস, তীব্র কটাক্ষ মোদীর

হিমাচল প্রদেশে সুখরামের ‘হিমাচল বিকাশ কংগ্রেস’, হরিয়ানায় ভজনলালের ‘হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেস’ বা ছত্তীসগঢ়ে অজিত যোগীর ‘জনতা কংগ্রেস ছত্তীসগঢ়’ও বার বার অসাফল্যের মুখ দেখেছে, কংগ্রেসের উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি এঁরা কেউই।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ই একমাত্র নেত্রী যিনি নিজের রাজ্যে কংগ্রেসি রাজনীতির প্রধান উত্তরাধিকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন অত্যন্ত উজ্জ্বল ভাবে। পাঁচ-সাত বছর নয়, টানা ২১ বছর ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে বাংলায় তিনি কংগ্রেসকে বহু পিছনে ফেলে দিতে পেরেছেন। ২০১১ সালে তাঁর দেওয়া শর্তে কংগ্রেসকে জোট গড়তে বাধ্য করেন মমতা এবং ৩৪ বছরের বাম শাসন শেষ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রিত্বে আসীন হওয়ার পর থেকে কিন্তু অনুচ্চারিত ভাবে নতুন যুগের সূচনা হয়ে গিয়েছে তৃণমূলে। বামপন্থী ঘরানার লোকজনকেও অক্লেশে তৃণমূলে ঠাঁই দিতে শুরু করেছেন মমতা। কখনও স্লোগানে, কখনও সরকারি নীতিতে, কখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বাংলার জন্য বিশেষ কিছু আদায়ের তাগিদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান বার বার মিলে যেতে শুরু করেছে বামেদের সঙ্গে। ফলে বামপন্থী হিসেবে পরিচিত বাঙালি বিদ্বজ্জনদের একটা বড় অংশকেই পাশে টানতে সক্ষম হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত আট বছরে সেই বৃত্ত প্রায় সম্পূর্ণ করে বাংলার সব শ্রেণির আশা-আকাঙ্খার প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে তৃণমূল।

এতদিন এই লোগো ছিল তৃণমূলের। —ফাইল চিত্র।

নতুন লোগোর নেপথ্যে সম্ভবত ক্রিয়াশীল ছিল সেই চেষ্টাও। ‘আমার, আপনার, বাংলার’— এই স্লোগানেই কিন্তু নিহিত গোটা বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে তৃণমূলকে তুলে ধরার প্রয়াস। বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্খা নিয়ে একমাত্র তৃণমূলই ভাবে, বাংলার সব শ্রেণির নাগরিকদের আশা-আকাঙ্খা পূরণের সক্ষমতা একমাত্র তৃণমূলেরই রয়েছে— এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা তো রয়েইছে। বাংলার জন্য বিজেপি-কে প্রয়োজন নেই, বাঙালি সমাজের অন্তর্লীন চেতনার সঙ্গে বিজেপির ভাবধারা মেলে না, বিজেপি আসলে এ রাজ্যে বহিরাগত এবং মূলত মোদী-শাহের মতো বহিরাগতদের ভরসাতেই বিজেপি বাংলায় নিজের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে— সুকৌশলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে এই বার্তাও। বলছেন বিশ্লেষকরা।

তা হলে প্রথমত, নিজের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্পষ্ট করে তোলা এবং দ্বিতীয়ত, জাতীয় রাজনীতিতে বাংলার সবচেয়ে মজবুত প্রতিনিধি হিসেবে তৃণমূলকে তুলে ধরা— নতুন লোগোয় কি মূলত এই দুটোই বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? বিশ্লেষকরা বলছেন, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে। সেগুলো প্রকাশ পেয়েছে রঙের ব্যবহারে।

রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বাধীন যে কংগ্রেসকে আজ দেশ দেখছে, তার থেকে যে তিনি নিজের রাজনীতিকে ক্রমাগত অনেক দূরে সরিয়ে নিচ্ছেন, তা বোঝাতে তেরঙা ব্যাকড্রপ সরে গিয়েছে। নীল-সাদার উজ্জ্বল উপস্থিতিকে তৃণমূলের নিজস্ব রং হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে। আর বেড়েছে সবুজের উপস্থিতি। জোড়াফুল প্রতীকটার নীচে লোগোর যে অংশ, সেটা পুরোটাই সবুজ। শুধু প্রতীকের নীচের বাঁ দিকের কোনায় ছোট্ট এককুচি গেরুয়া। স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, গেরুয়া রঙের দাপট বাংলার রাজনীতিতে অচল। বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, গেরুয়া দল বাংলার দল নয়, বাংলার প্রতিনিধিত্ব করবে নীল-সাদা-সবুজের তৃণমূলই। মত তৃণমূলের অন্দর মহলেরই।

জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।

আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আজ ফের বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ

কিন্তু তৃণমূল শুধু বাংলায় তো লড়বে না। অসম, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিচ্ছে। ‘আমার, আপনার, বাংলার’— এই স্লোগান তো ওই সব রাজ্যে চলবে না। সে ক্ষেত্রে লোগো কী রকম হবে? তৃণমূল সূত্রের খবর, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে গুরুত্ব দেওয়ার নীতি মাথায় রেখেই ওই সব রাজ্যের জন্য লোগো তৈরি হবে।

মার্চের প্রথম সপ্তাহেই নতুন লোগোটা প্রকাশ করে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়া পেজের ডিসপ্লে পিকচারে জ্বলজ্বল করে ওঠে নতুন লোগো। একে একে তৃণমূলের সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নতুন রঙে রেঙে উঠতে শুরু করে। সব শেষে প্রার্থীতালিকা প্রকাশের দিন কালীঘাটের তৃণমূল দফতরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ারের পিছনের দেওয়ালে বড় করে দেখা দেয় নতুন লোগো, নতুন রং, নতুন স্লোগান।

বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রে দলের নতুন লোগো দেখা যাবে না। সেখানে সাদা-কালো জোড়াফুলই থাকবে। কিন্তু কর্মী-সমর্থকদের কতটা পছন্দ হয়েছে এই নতুন লোগো, তা দেওয়াল লিখন বা ফ্লেক্স-ব্যানারে চোখ রাখলেই স্পষ্ট। নির্বাচনে কতটা ছাপ ফেলে নতুন লোগোর বার্তা, ২৩ মে মিলবে সে উত্তর।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement