রাজ্যে সার্বিক ভাবে বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতার পথ থেকে তারা সরে এসেছে। কিন্তু সমঝোতা ভেস্তে যাওয়ার ‘দায়’ কাঁধে এসে পড়ায় চাপ যে ভাবে বাড়ছে, তা বুঝেই বারেবারে নতুন ভাবনা ভাবতে হচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেসকে! তাদের সর্বশেষ ভাবনা, যাদবপুর ও বাঁকুড়া লোকসভা আসনে প্রার্থী না দিয়ে সিপিএমকে ‘সৌজন্যের বার্তা’ দেওয়া।
সিপিএমের জেতা দুই আসনে প্রার্থী দিলেও রাজ্যের পাঁচটি আসন এর আগে ছেড়ে রাখার কথা বলেছিল কংগ্রেস। সেই তালিকায় অবশ্য যাদবপুর বা বাঁকুড়া ছিল ন। ছিল আসানসোল, বোলপুর, বিষ্ণুপুর, তমলুক ও ডায়মন্ড হারবার। কিন্তু রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও প্রদেশ সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরা যাদবপুর ও বাঁকুড়া আসনে প্রার্থী না দিতে পারেন।
সোমেনবাবুর কথায়, ‘‘যাদবপুরে যিনি সিপিএমের প্রার্থী (বিকাশ ভট্টাচার্য) হয়েছেন, নানা ঘটনায় বিচারপ্রার্থীদের সহায়তা এবং গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকা অগ্রগণ্য। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা প্রার্থী না দিতে পারি। বাঁকুড়া থেকে লড়তেন সংসদে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব বাসুদেব আচারিয়া। ওই কেন্দ্রটাও আমরা ছেড়ে দিতে পারি।’’ বাসুদেববাবু অবশ্য এ বার প্রার্থী নন, ওই আসনে সিপিএমের হয়ে লড়ছেন অমিয় পাত্র। এই দুই আসন কি আগের পাঁচের সঙ্গে যোগ হবে? প্রদীপবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আরও একটু সময় লাগবে।’’
আরও পড়ুন: ভোটে না দাঁড়াতে বার্তা পাঠানো হয়েছিল মাত্র! মোদী-শাহের উপেক্ষায় ক্ষুব্ধ আডবাণী
কংগ্রেসের ১১ প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আরও কিছু আসনের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা নিয়ে এ দিন রাতে দিল্লি গিয়েছেন সোমেনবাবু। দিল্লিতে আজ, সোমবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটিতে অনুমোদনের পরে বাংলার আরও কিছু আসনের প্রার্থীর নাম প্রকাশ করতে পারে এআইসিসি। মালদহে এসে রাহুল গাঁধী প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা না করায় গুঞ্জন তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। কোনও আসন ছাড়া হবে কি না, দিল্লিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: প্রত্যাশা মেটালেন না ‘নেত্রী’ নুসরত
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এ দিন বাঁকুড়ায় ফের বলেছেন, ‘‘আমাদের লড়াই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নয়। আমরা বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল-বিরোধী ভোট একজোট করার লক্ষ্য নিয়েই কংগ্রেসের জেতা দুই আসনে এখনও প্রার্থী দিইনি। কংগ্রেস আমাদের দুই আসন থেকে প্রার্থী সরালে আমরা আরও কিছু আসনে প্রত্যাহারের আলোচনায় রাজি।’’