—ফাইল চত্র
ভোটপর্বে অভিযোগ জানতে ‘সি-ভিজিল’ অ্যাপের উপরে অনেকটাই ভরসা করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অথচ বঙ্গে আমজনতার কাছে সেই অ্যাপের কথা পৌঁছচ্ছে না। এ নিয়ে অসন্তোষ চেপে রাখেননি কমিশনের কর্তারা।
শুক্রবার এক ভিডিয়ো কনফারেন্সে ‘সি-ভিজিল’ অ্যাপের প্রচার নিয়ে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। আর সোমবারই পশ্চিমবঙ্গ সিইও দফতরের ফেসবুক পেজে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার ‘সি-ভিজিল’ সংক্রান্ত বক্তৃতাকে মুখবন্ধ করে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তিন মিনিট আট সেকেন্ডের ভিডিয়োতে ‘সি-ভিজিল’-এর বিষয়ে বিশদ বলা হয়েছে। এই অ্যাপ ব্যবহার করে কী ভাবে অতি দ্রুত কোনও ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে তার উল্লেখও করেছেন এক ব্যক্তি। এই অ্যাপের প্রথম ব্যবহার হয় ২০১৮ সালে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে। তাতে সাফল্যও মিলেছিল বলে দাবি করেছেন কমিশনের কর্তারা।
শুধু ফেসবুক পেজে পোস্ট করেই দায়িত্ব শেষ করছেন না সিইও দফতরের কর্তারা। একইসঙ্গে ‘সি-ভিজিল’ সংক্রান্ত বিষয়টির অডিও ক্লিপও তৈরি করছেন তাঁরা। একইসঙ্গে হোর্ডিং-এ কী ভাবে ‘সি-ভিজিল’-এর প্রচার করা হবে, তার পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার কয়েকদিনের মধ্যেই এই হোর্ডিং লাগানো হবে। জেলা প্রশাসনগুলি সে বিষয়ে তৎপর হয়েছে। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘সাধারণ মানুষ যদি সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন, তা হলে আমাদের কাজের সুবিধা হবে। সে কারণেই এই অ্যাপের প্রচার জরুরি।’’