হাত ধরে তুমি...

এ বার রাজনীতির কাজ করবেন?  উমার জবাব, ‘‘দেখলেন তো আবার জিজ্ঞেস করছেন কেন? 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামবনি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০০:০০
Share:

প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘ওকে (উমা সরেন) টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। উমা বাচ্চা মেয়ে। দলের কাজ করতে চাইছে।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবার জামবনিতে দলীয় কর্মসূচিতে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের প্রার্থীর বিরবাহা সরেনের হাত ধরে উমাকে বলতে শোনা গেল, ‘‘আমার যা লিড ছিল তার থেকেও বেশি লিডে এবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে আমাদের প্রার্থীকে জেতানোর শপথ নিন। রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনের সঙ্গে ঝাড়গ্রাম আসনটিও আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেব।”

দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর আবেদন করলেও এ দিন জামবনির টুলিবড় স্কুলমাঠে দলের জেলা ছাত্র-যুব সম্মেলনে উমাকে দেখা গেল কিছুটা অন্যমনস্ক অবস্থায়। অনেকটা সময়ই তিনি ব্যস্ত ছিলেন মোবাইলে। তবে মাঝে মাঝে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।

Advertisement

নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই এ দিনের কর্মসূচি নির্ধারিত ছিল। সম্মেলনে উমা আসবেন কি না, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল কর্মীদের মধ্যে। সভায় তখনও পার্থ কিংবা বিরবাহা এসে পৌঁছননি। মঞ্চে ছিলেন দলের এবং ছাত্র-যুব সংগঠনের জেলা ও ব্লকের নেতারা। এসেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরিও। তিনি বলেন, ‘‘কিছু বিষয়ে মনে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতে পারে। প্রতিশোধ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষাও থাকতে পারে। দল ও প্রার্থীর স্বার্থে এসব ভুলে গিয়ে আমাদের প্রমাণ করে দিতে হবে জঙ্গলমহল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে।’’ দুপুর ২টো নাগাদ উমা এসে পৌঁছন। হাতজোড় করে মঞ্চের সকলকে নমস্কার জানিয়ে সামনের সারির পার্থের জন্য নির্দিষ্ট আসনের দু’টি আসনের পরে বসেন।

এর আগে অন্য সভায় উমাকে পার্থের পাশে বসতে দেখা যেত। এ দিন মঞ্চে বসে প্রথম দিকে বিশেষ কারও সঙ্গে কথাও বলেননি উমা। কখনও গম্ভীর মুখে বসেছিলেন। কখনও একমনে মোবাইল ফোনে মেসেজ দেখছিলেন। দ‌লীয় এক মহিলা কর্মীর দেওয়া দাবি সংক্রান্ত কাগজপত্রও মন দিয়ে পড়তে দেখা যায় উমাকে। কিছুক্ষণ পরে সাঁকরাইল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্রের সঙ্গে বিরবাহা সরেন এসে পৌঁছতেই তাঁকে বসানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। পার্থের জন্য নির্দিষ্ট আসনের পাশে বসেন বিরবাহা। আড়াইটা নাগাদ এসে পৌঁছন পার্থ। এক সময় পার্থের পাশে খালি আসন পেয়ে বসে পড়েন উমা। নিচু স্বরে পার্থের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিরবাহা এদিন কর্মীদের বলেন, ‘‘আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে। আমার বাবার বাড়ি জামবনিতে। আমাকে বিপুল ভোটে জিতিয়ে আপনাদের পাশে থাকার সুযোগ করে দিন।’’ এ দিন পার্থ দাবি করেন, জঙ্গলমহলের মাটির সঙ্গে যুক্ত সবার সঙ্গে কথা বলে বিরবাহাকে প্রার্থী করা হয়েছি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা উমাকেও নিয়েছি। সুকুমার হাঁসদা নেতৃত্বে সকলে এক। কর্মীদের বলেছেন মানুষের উপর বিশ্বাস রেখে জিতবে হবে।’’

এ বার রাজনীতির কাজ করবেন? উমার জবাব, ‘‘দেখলেন তো আবার জিজ্ঞেস করছেন কেন?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement