‘কলেজে পড়তে তৃণমূল করতাম’

আদতে  দক্ষিণ দিনাজপুরের মহীপালদিঘির বাসিন্দা নিজেকে বহিরাগত হিসাবে মানতে নারাজ, তাঁর দাবি তিনি ১৩ বছর হল ঘর ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়েছেন, এখন সারা দেশই তাঁর ঘরবাড়ি। 

Advertisement

প্রাণময় ব্রহ্মচারী

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০৩:২০
Share:

বহরমপুরে প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ জোয়ারদার আর্য। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

কলেজে পড়ার সময় তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে যাঁর হাতেখড়ি এ বার বহরমপুরে তিনিই বিজেপি-র ‘অচেনা প্রার্থী’ কৃষ্ণ জোয়ারদার আর্য।

Advertisement

বৃহস্পতিবার প্রথমবার বহরমপুর শহরে পা রেখে যিনি দাবি করছেন, বহরমপুরে আশ্রম গড়ে পাকাপাকি থাকতে চান তিনি।

প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরেই স্থানীয় মানুষজন তো বটেই দলীয় নেতা-কর্মীরাও এ-ওর দিকে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘কে রে?’’ দলীয় কার্য়ালয়ে এসে সে সব গ্রাহ্য না করে পাল্টা দাবি কৃষ্ণ জোয়ারদারের, ‘‘কে বলেছে আমি বহিরাগত, বহরমপুরেই আশ্রম তৈরি করে থাকব যখন দেখবেন!’’ সঙ্গে জুড়ে দিলেন, তাঁর বিবিধ পরিকল্পনা, ‘‘একে একে গড়ে ফেলব বৃদ্ধাশ্রম, অনাথাশ্রম।’’

Advertisement

আদতে দক্ষিণ দিনাজপুরের মহীপালদিঘির বাসিন্দা নিজেকে বহিরাগত হিসাবে মানতে নারাজ, তাঁর দাবি তিনি ১৩ বছর হল ঘর ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়েছেন, এখন সারা দেশই তাঁর ঘরবাড়ি। নিজের জন্য ভোট চাইতে আসেননি, মানবজীবনের উন্নতির জন্যই এখানে ভোট চাইতে এসেছেন। এটাই তাঁর একমাত্র নির্বাচনী ইস্যু।

জানা গেল, দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে বৈদিক যজ্ঞ করার সুবাদে বিজেপি ঘনিষ্ঠতা। প্রার্থী হওয়ার নেপথ্য গল্প লুকিয়ে রয়েছে এখানেই। তার পর কোনও রাখঢাক না রেখেই বলছেন, ‘‘তৃণমূল করেছি তো কলেজে পড়তে। কিন্তু পরে সাধু জীবনে প্রবেশ করে দেখলাম ওঁরা (মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং তাঁর দল) যা শুরু করেছেন, তাতে সাধুদের জপ করার জায়গা নেই। কর্ম জীবনে রোজগারও করেছি, মেদিনীপুরের কোলাঘাটে কিছু দিন সিপিডব্লুডির ঠিকাদার ছিলাম। তার পর সন্ন্যাসী হয়ে কলকাতার শ্যামবাজার মঠে।’’

চেয়ার থেকে উঠে পড়লেন কৃষ্ণ। দুধ-সাদা জুতো জোড়া পায়ে গলিয়ে এ বার প্রচারে, হাঁক পাড়লেন, ‘‘চলো ভাই’’, চশমার কাচ মুছে এক দলীয় কর্মী বলছেন, ‘‘তা হলে জপ করার ভাল জায়গা হল বহরমপুর!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement