কেন্দ্রে তারা ক্ষমতায় এলে ন্যূনতম আয় যোজনার (ন্যায়) সুফলে এ রাজ্যের জঙ্গলমহল ও চা-বাগানের শ্রমিকদের পরিবার উপকৃত হবে বলে দাবি করল কংগ্রেস। ওই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন বা রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের উপরে নির্ভরশীল হতে হবে না। সরাসরি পরিবারের মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্টে সহায়তার টাকা পৌঁছে যাবে। এই সব সুবিধার কথা ব্যাখ্যা করেই লোকসভা ভোটের বাজারে ‘ন্যায়ে’র ফায়দা তুলতে সক্রিয় হয়েছে কংগ্রেস।
ইন্দিরা গাঁধীর ‘গরিবি হটাও’ স্লোগানের আদলে ন্যূনতম রোজগার নিশ্চয়তার ঘোষণা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। প্রকল্পের আকারে ওই ভাবনার রূপরেখা স্পষ্ট করে কংগ্রেস নেতৃত্ব সোমবার জানিয়েছেন, বছরে ৭২ হাজার টাকার সহায়তা পাবেন দরিদ্র অংশের ২০% পরিবার। যার অর্থ, প্রায় ৫ কোটি পরিবার ওই প্রকল্পে উপকৃত হবেন। কলকাতার বিধান ভবনে মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেসের কমিউনিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ রাজ্যে এখনও শবরদের অপুষ্টিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। চা-বাগানের শ্রমিকেরা দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন। ‘ন্যায়’ চালু হলে তাঁদের সকলেরই ন্যূনতম রোজগার নিশ্চিত হবে।’’ এমন প্রকল্পের জন্য টাকা আসবে কোথা থেকে? অমিতাভবাবুর জবাব, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অর্থনীতির বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রকল্প চূড়ান্ত করেছেন। এটা প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নরেন্দ্র মোদীর ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার মতো জুমলা নয়! একশো দিনের কাজ প্রকল্পের সময়েও টাকার সংস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে, কংগ্রেস আমলে ওই প্রকল্পের জন্য কখনও টাকার অভাব হয়নি।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯