লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নামতে না দিয়ে মহিলাদের বিক্ষোভ। (ইনসেটে) লকেট। ছবি: নির্মল বসু।
সন্দেশখালির গ্রামে ঢুকতেই পারলেন না বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। গ্রামের মহিলাদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে মাঝপথেই ফিরে আসতে হল তাঁকে।
ধর্ষণের মাসখানেক পর কলকাতার হাসপাতালে গত সোমবার মারা গিয়েছেন সন্দেশখালির বছর বাষট্টির এক বৃদ্ধা। ধর্ষণ ছাড়াও তাঁর যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল লোহার রড, মদের বোতল ও বাবলা-কাঁটা।
আরও পড়ুন
মন ছুঁয়ে গিয়েছে মোদীর শেষ চিঠি, ১০ দিন পেরিয়ে আপ্লুত টুইট প্রণবের
লালু দিলেন নীতীশের নয়া নাম, ‘পল্টুকুমার’
বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির সেই বৃদ্ধার বাড়িতে যেতে চেয়েছিলেন লকেট। কিন্তু, নৌকা থেকে নামার আগেই ঘাটে প্রচুর মহিলা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তিনি নামতেই পারেননি। পরে নদীর উল্টো পাড়ে নামেন। সেখানেও তখন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ। শেষমেশ ফিরে যেতে হয় লকেটকে। কেন এসেছিলেন সন্দেশখালি? জানালেন আনন্দবাজারকে।
কী বললেন লকেট? ভিডিওতে দেখে নিন...
নৌকো থেকে নামার আগেই লকেটকে দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামের মহিলারা। জখম বৃদ্ধাকে দেখতে না এসে এখন কেন এসেছেন বিজেপি নেত্রী? এই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
কী বলছিলেন? দেখে নিন ভিডিওয়...
বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যেতে বাধ্য হলেন বিজেপি নেত্রী। তবে তাঁর আগে নিজেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বললেন। সেই সঙ্গে নিজেরও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
শুনে নিন লকেটের বক্তব্য...
লকেট ফিরে গেলেও এলাকার মানুষজনের ক্ষোভ তখনও থামেনি।
কী বলছিলেন তাঁরা?
লকেট বলেছেন, ‘‘গ্রামের মহিলারা নন, সংগঠিত ভাবে তৃণমূলই ওই বিক্ষোভ দেখিয়েছে।’’ উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “নোংরা রাজনীতি করলে সাধারণ মানুষ কখনও মেনে নেন না। এ দিনের ঘটনা তারই প্রমাণ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।”