দোকান খোলার প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস পর বুধবার থেকে রাজ্যে চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি খুশি হওয়ার কথা ট্রেনের হকার, স্টেশনের দোকানদারদের। কিন্তু খুশির কথা শোনা গেল না তাদের জন্য। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই স্টেশনে দোকান খোলা বা ট্রেনে হকার ওঠা যাবে না।
বুধবার থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হচ্ছে। তার আগে সোমবার শিয়ালদহ মেন লাইনে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলি পরিদর্শন করেন শিয়ালদহের ডিআরএম শৈলেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ-সহ অন্য আধিকারিকরা। দমদম, ব্যারাকপুর, নৈহাটি ও কল্যাণী স্টেশন পরিদর্শনের পর ডিআরএম জানিয়েছেন, “লোকাল ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত স্টেশনগুলি। তবে যাত্রীদের জন্য পরিষেবা চালু হলেও রেলে হকার ওঠা বা স্টেশনে দোকান খোলার অনুমতি এখনই দেওয়া হচ্ছে না।”
ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার খবরে খুশি বনগাঁর মতো দূর দূরান্ত থেকে কলকাতা যাতায়াত করা নিত্যযাত্রীরা। বনগাঁ সহ বিভিন্ন স্টেশনে সোমবার নিত্যযাত্রীদের সিজন টিকিট রিনিউ করতে দেখা যায়। তেমনই এক নিত্যযাত্রী বনগাঁর সঞ্জয় সাধুখাঁ বলেন, ‘‘শিয়লদহ যেতে ট্রেনে খরচ মাত্র ২০ টাকা। সেখানে ট্রেন ছাড়া অন্য কোনও উপায়ে কলকাতা পৌঁছতে ২০০ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। আর তাতে রাস্তাঘাটে জীবনের ঝুঁকিও থেকে যায়।’’ আবার মণিশঙ্কর চক্রবর্তীর মতো নিত্যযাত্রীদের অনেকেই মনে করেন, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানো কথা বলা হলেও তা কতটা কার্যকর করা সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আবার কিছু যাত্রী মনে করেন, নিজেরা সচেতন হলেই সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স সহ অন্যান্য বিধি মেনে যাতায়াত সম্ভব। আর এই সমস্যার একটা বড় সমাধান হল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো।
শেষ পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার খবরে এদিন নতুন করে দোকান গোছাতে দেখা গিয়েছে অনেক হকারকে। করোনাবিধি মেনেই তাঁরা ব্যবসা করবেন বলে জানিয়েছেন। এখন দেখার তাঁদের নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেন।