Madrasa

মাদ্রাসার গুজবে গোবরডাঙায় কর্মতীর্থে ভাঙচুর 

এলাকার বিডিও শুভ্র নন্দী বলেন, ‘‘১০ বাই ১০ ফুটের শাটার দেওয়া দোকানঘর। সেখানে কি মাদ্রাসা হতে পারে? যে দফতর টাকা দেয় সেই দফতরের সাইনবোর্ডই লাগানো হয়। এখানে মার্কেটই হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৪৩
Share:

আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ বিক্ষুব্ধদের। সোমবার গোবরডাঙার নকপুলে। ছবি: সুজিত দুয়ারি

কর্মতীর্থের সাইনবোর্ডকে কেন্দ্র করে সোমবার অগ্নিগর্ভ হল উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার নকপুল এলাকা। বিক্ষুব্ধরা কর্মতীর্থে ভাঙচুর চালায় ও পথ অবরোধ করে। পরে পুলিশ লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

প্রশাসন জানায়, এক মহিলার দানের জমিতে কর্মতীর্থ প্রকল্পে চার কোটি টাকা খরচ করে বেকারদের জন্য তৈরি হয়েছে ৫০টি দোকানঘর। প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য করেছে সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। দিন কয়েক আগে ভবনের সামনে সাইনবোর্ডে লিখে দেওয়া হয়, ‘কর্মতীর্থ, হাবড়া ব্লক ১, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর’। পুলিশ জানায়, ওই সাইনবোর্ড দেখবার পর থেকেই কিছু মানুষ রটাতে থাকেন, কর্মসংস্থানের জন্য তৈরি দোকানে মাদ্রাসা করা হবে। এ দিন সকালে কিছু মানুষ কর্মতীর্থের ভিতর ঢুকে ভাঙচুর চালায়। বনগাঁ-বসিরহাট সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসে ছোড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। দু’ঘণ্টা পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এলাকার বিডিও শুভ্র নন্দী বলেন, ‘‘১০ বাই ১০ ফুটের শাটার দেওয়া দোকানঘর। সেখানে কি মাদ্রাসা হতে পারে? যে দফতর টাকা দেয় সেই দফতরের সাইনবোর্ডই লাগানো হয়। এখানে মার্কেটই হবে।’’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেকারেরা আবেদন করলে লটারির মাধ্যমে ঘর পাবেন। জেলার পুলিশ সুপার অতুল ভি বলেন, ‘‘ঘটনায় ১২ জন ও পরে থানায় চড়াও হওয়ার অভিযোগে ৫ জন গ্রেফতার হয়েছে।’’ ধৃতদের ছাড়াতে থানায় চড়াও হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন বিজেপি-র গোবরডাঙা শহর সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধায়কে।

Advertisement

আরও খবর: ফাঁসির মঞ্চ তৈরি হচ্ছে বারুইপুরে

আরও খবর: নাম ছাড়াই আমন্ত্রণপত্র, সমাবর্তন কি ধনখড়-হীন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement