—প্রতীকী ছবি।
বামেদের ডাকা দু’দিনের বন্ধের প্রথম দিনে শুরু হচ্ছে জয়েন্ট্র এন্ট্রান্স পরীক্ষা। কোচবিহার ও লাগোয়া জেলার অনেক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে শিলিগুড়িতে। সে জন্য আগাম শিলিগুড়িতেই পৌঁছেছেন অনেকে। উপরন্তু, কোচবিহারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে। সে জন্য সমাবেশে ভিড় যাতে উপচে পড়ে তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন উদ্যোক্তারা। একই দিনে বন্ধ শুরু হওয়ায় বামেদের মিছিলও হওয়ার কথা। তাই উত্তেজক পরিস্থিতি যাতে না তৈরি হয় সে জন্য পুলিশ-প্রশাসন সোমবারই আসরে নেমেছে।
রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি আনন্দ কুমার বলেছেন, ‘‘কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে যাতে কোনও উত্তেজনা না ছাড়ায় তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে। চা বলয়েও পুলিশ ভোর থেকে টহল দেবে।’’
কোচবিহার জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন সকাল থেকে জেলাশাসক কৌশিক সাহা একাধিক পরিবহণ সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মঙ্গল ও বুধবার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পরিবহণ সংগঠনের তরফে বাড়তি নজরদারির আর্জি জানানো হয়। জেলাশাসক পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে তা নিশ্চিত করান। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও সব থানাকে কেউ যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করলেই আইনি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির চা বলয়ে বন্ধের প্রভাব পড়বেই বলে বামেদের তরফে শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা মেয়র অশোক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন। সোমবার বামেদের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ির বেশ কয়েকটি এলাকায় মিছিল হয়। চা বাগান এলাকাতেও মিছিল করেন বনধ সমর্থনকারীরা। কিন্তু, তৃণমূলের তরফে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক তথা জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী দাবি করেন, ‘‘জনজীবন স্তব্ধ করার কোনও আন্দোলন এখন মানুষ মেনে নেন না। সে জন্য কেউ বন্ধের আহ্বানে সাড়া দেবেন না।’’
জলপাইগুড়ির মালবাজার, নাগরাকাটা, বীরপাড়া, ওদলাবাড়ি এলাকার চা বাগানে সকাল থেকে কয়েক দফায় প্রচার চালান বাম নেতা-কর্মীরা। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম, বারবিশা, কালচিনিতেও চা বাগানে বন্ধের পক্ষে প্রচার চলে। তবে তৃণমূলের যুব সংগঠনের শীর্ষ নেতা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য জোরদার প্রচার চালানো হয় কোচবিহার লাগোয়া এলাকাতেও। সারাদিন দু’তরফের প্রচারে অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। আজ, মঙ্গলবার যাতে কোথাও উত্তেজনা না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে সব থানাকে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত টহলদারি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।