ফাইল চিত্র।
কেনা হচ্ছে দামি যন্ত্রপাতি। খোলা হচ্ছে নতুন বিভাগ। অথচ প্রায় ৬০% পদ শূন্য পড়ে আছে বলে অভিযোগ রাজ্যের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির কর্মীদের। তবে সংস্থার কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রয়োজনেই নতুন বিভাগ চালু করতে হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, ওই ল্যাবরেটরির ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি-সহ বিভিন্ন বিভাগে পদ খালি। নবান্নে চিঠি লিখে তা জানানো হয়েছে বলে দাবি কর্মী ইউনিয়ন এবং অফিসার সংগঠনের। এক ফরেন্সিক-কর্তা জানান, সরকারি হিসেবেই দেখা যাচ্ছে, সব বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ৬০% পদ খালি। কাজ চলছে চুক্তিতে নিযুক্ত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সাহায্যে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর পদ খালি রয়েছে প্রায় ৭০%। কাজ চালাচ্ছেন সিভিক ভলান্টিয়ার এবং হোমগার্ডেরা।
কর্মীদের অভিযোগ, স্থায়ী কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে সরকার উদাসীন। লোকাভাব ব্যাপক। তাসত্ত্বেও দামি দামি যন্ত্রপাতি কেনার বিরাম নেই। কিন্তু প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাবে সেই সব যন্ত্র ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ল্যাবরেটরির এক কর্তা বলেন, ‘‘বিভিন্ন বিভাগে লোকাভাব রয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমাদের বিশেষজ্ঞেরা বিশ্বমানের। সেই জন্যই অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি বা মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনার ফরেন্সিক পরীক্ষা দ্রুত করা সম্ভব হয়েছে।’’ সংস্থার দাবি, চারটি মোবাইল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি হাওড়া, সল্টলেক এবং কলকাতা পুলিশের এলাকায় কাজ করছে। আরও পাঁচটি মোবাইল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি চালু করার পরিকল্পনা আছে।